অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা
Published: 14th, June 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার ধস নামে শেষে। জিততে জিততে হারই যেন তাদের নিয়তি। কিন্তু লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসেই যেন হারতে বসেছিল তারা। গল্পের যে বহু বাকি দ্বিতীয় ইনিংসে দেখিয়েছে প্রোটিয়ারা। দেখিয়েছেন প্রোটিয়া ক্রিকেটের শাপমোচনের ভার কাঁধে নেওয়া এইডেন মার্করাম। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৮১ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবার টেস্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঘরে তুলেছে আইসিসির দ্বিতীয় শিরোপা।
লর্ডসে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিং নিতেই উইকেট পেস বান্ধব হতে যাচ্ছে এই বার্তা পাওয়া গিয়েছিল। উইকেটে ঘাসের সুবিধা নিয়ে কাগিসু রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়ে গত টেস্ট চক্রের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১২ রানে অলআউট করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিরা বল হাতে ছিল আরও বিধ্বংসী। প্যাট কামিন্সের তোপে মাত্র ১৩৮ রানে ধসে যায় প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড নিয়ে শিরোপায় এক হাত দিয়ে ফেলে।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টিভ স্মিথ ৬৬ রান করেন। বাও ওয়েবস্টার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া অ্যালেক্স কেরি ২৩ ও মার্নাস লাবুশানে ১৭ রান যোগ করেন। ওই ইনিংসে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা রাবাদা ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। মার্কোস ইয়ানসেন নেন ৩ উইকেট। প্রোটিয়াদের হয়ে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা প্রথম ইনিংসে ৩৬ রান করেন। ডেভিড বেডিংহাম ৪৬ রান যোগ করেন। কামিন্স ২৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন। মিশেল স্টার্ক ২ উইকেট দখল করেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলা ও তৃতীয় দিন সকালে পুনরায় ব্যাটিংয়ে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ৬৬ রানে হারায় টপ ও মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ৬ ব্যাটার। এর মধ্যে মার্নাস লাবুশানে ৬৪ বল খেলে ২২ রান করেন। অন্য কোন ব্যাটার ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি।
তৃতীয় দিন সকালে অবশ্য উইকেটের ঘাস মরে যাওয়ায় ও ঝলমলে রোদ ওঠায় পরিস্থিতি বদলে যায়। সুবিধা নিয়ে অ্যালেক্স কেরি ৪৩ রান করেন। তবে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কার্যকরী কাজটা করেন স্টার্ক ও জস হ্যালজউড। স্টার্ক ১৩৬ বল খেলে হার না মানা ৫৮ রান করেন। শেষ ব্যাটার হ্যালজউড ৫৩ বল খেলে ১৭ রান যোগ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা ৪টি ও লুঙ্গি এনগিডি নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ৯ রানে ওপেনার রায়ান রিকেলটনকে হারায়। তবে অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদারকে নিয়ে ওপেনার এইডেন মার্করাম ভিত্তি শক্ত করে ফেলেন। মুলদার ২৭ রান করে দলের ৭০ রানে ফিরে যান। মার্করাম ও বাভুমা সেখান থেকে ২১৩ রান তুলে জয়ের সুবাস নিয়ে দিন শেষ করেন। মার্করাম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ফিফটি হয় বাভুমারও। চতুর্থ দিনের শুরুতে বাভুমা ৬৬ রান করে ফিরে যান। মার্করাম ২০৭ বল খেলে ১৩৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হলেও জয় নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয়নি প্রোটিয়াদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম ইন র ন কর ন ম র কর ম বল খ ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জিম্বাবুয়েকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বড় রানের নিচে চাপা পড়ার ভয়টাও নিশ্চয়ই বাড়ছিল।
তবে বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বোলিংয়ে ভালোই কেটেছে তাঁদের। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটই তুলে নিয়ে অলআউট করেছে ৩০৭ রানে। তবে জিম্বাবুয়ে এরপরও স্বস্তিতে নেই। ১৫৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর ৩১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকেরা। ইনিংস হার এড়াতে এখনো ১২৭ রান করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।
আরও পড়ুনআধা ঘণ্টার মধ্যেই গিলের দুই রেকর্ড ৫ ঘণ্টা আগেদিনের প্রথম বলেই ৭০ বলে ৪১ রান করা উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে প্রথম উইকেট এনে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর ৬৬ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস ও ডেভন কনওয়ে। এবারও জিম্বাবুয়ের ত্রাতা হন মুজারাবানি। ৫৬ বলে ৩৪ রান করা হেনরি নিকোলসকে ফেরান ব্রায়ান বেটের ক্যাচ বানিয়ে।
এরপর কনওয়ে ১৭০ বলে ৮৮ রান করে তানাকা চিবাঙ্গার বলে ফিরে গেলে আরও চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টাটা করতে পেরেছেন শুধু ড্যারিল মিচেল। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ১১৯ বলে ৮০ রান করে নিউম্যান নিমহারির বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের মাত্র দুজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন