ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের বিধিমালা হালনাগাদ
Published: 16th, June 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে নির্বাচনের লক্ষ্য, অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধিমালায় এ হালনাগাদ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- স্বাধীনতা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করা; বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে সংঘটিত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করা এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্য ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জনে সহায়তা করা।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন
ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি
সদস্যপদ, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাবির পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে। যিনি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, মাস্টার্স বা এমফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত।
সান্ধ্যকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
নির্বাচন পরিচালনার কাঠামো নিয়ে বলা হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনের জন্য সভাপতি একজন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সর্বোচ্চ ১০জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন। প্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের ভেতরে উপযুক্ত কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট প্রদান করবেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে কেউ আপত্তি জানালে তা উপাচার্যের নিকট দাখিল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
হালনাগাদ করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র সংসদে নতুন করে চারটি সম্পাদকীয় পদ সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো- গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সম্মেলন আয়োজন করবেন এবং গবেষণা জার্নাল প্রকাশ করবেন। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালা, সেমিনার ও চাকরি মেলা আয়োজন করবেন। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক মানবাধিকার ও আইনসংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে উদ্যোগ নেবেন।
ঢাবি প্রশাসন আশা করছে, একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্য প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে সক্ষম হবেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য পর ব শ করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচন পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সদস্য পদ, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, মাস্টার্স বা এম ফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত হতে হবে।
সন্ধ্যাকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ডাকসুতে নতুন ৪ পদহালনাগাদ করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নতুন করে তিনটি সম্পাদকীয় পদ সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।
নির্বাচন পরিচালনার কাঠামোপ্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের ভেতরে উপযুক্ত কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দেবেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে কেউ আপত্তি জানালে তা উপাচার্যের কাছে দাখিল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচনের কমিশন ও তফসিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি১৫ জুন ২০২৫