তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল) বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভারতের অভিজ্ঞ অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর নেতৃত্বাধীন দল দিন্দিগুল ড্রাগনসের বিরুদ্ধে মাদুরাই প্যান্থার্স যে অভিযোগ তুলেছিল, তা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি প্রমাণ করতে পারেনি।

১৪ জুন সালেমে দুই দলের ম্যাচ শেষে মাদুরাই কোচ শিজিত চন্দ্রন অভিযোগ করেন, রাসায়নিক ব্যবহার করা তোয়ালে দিয়ে অশ্বিনের দল বলের অবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ করেছিল। তাঁর দাবি, ‘পাওয়ার প্লের পর ব্যাটসম্যানদের শট মারার শব্দ ছিল এমন, যেন তারা পাথর মারছে। বল স্বাভাবিক ছিল না।’

তবে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে টিএনপিএল সিইও প্রসন্ন কানন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচে ব্যবহার হওয়া তোয়ালেগুলো টিএনসিএ কর্তৃক দেওয়া হয়েছিল, দুই দলের জন্যই ছিল। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি বলের অবস্থা পুরো ম্যাচজুড়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। খেলার সময় কোনো অভিযোগ ওঠেনি। কোনো প্রমাণও দিতে পারেননি। অভিযোগগুলো অনুমানভিত্তিক।’

অশ্বিনের দল দারুণ ছন্দে আছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রলার ডুবি: রাতভর সমুদ্রে ভাসছিল ৩ জেলে

আলকাচ মাঝি (২৫), খায়রুল ইসলাম (২৫), রাসেল (২৭) ও শামিম হাসান (৩৫) এই চার জেলে সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান।পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত থেকে মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় একটি ছোট ট্রলার নিয়ে তারা সাগরে যান। পায়রা বন্দরের খাম্বা বয়া এলাকায় ঝড়ের কারণে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়।

ট্রলারটির চার জেলে ফ্লুট ও বয়া নিয়ে সাগরে ভাসতে থাকেন। একটি মাছধরা ট্রলার রাতেই আলকাচ মাঝিকে উদ্ধার করলেও অপর তিন জেলে রাতভর সাগরে ভাসতে থাকেন। 

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে তিন জেলে ভাসতে ভাসতে চর তুফানিয়ায় গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তারা জ্ঞান হারান। তাদের অপর একটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে দুপুরে কুয়াকাটার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

আরো পড়ুন:

জেলের জালে ২৩ কেজির কোরাল, ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ১৩ জেলে আটক

আলকাচ মাঝি বলেন, “প্রচণ্ড বাতাস এবং ঢেউয়ের কারণে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এরপর আমরা সাগরে ভাসতে শুরু করি। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর একটি ট্রলার আমাকে উদ্ধার করে। অন্যদের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। আজ খবর পাই, তারা তুফানিয়া নামক একটি চড়ে উঠেছেন। পরে তাদের নিয়া আসা হয়।” 

জেলে শামিম বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় মাছ শিকারের জন্য বঙ্গোপসাগরে গেলে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলাটি ডুবে যায়। আমরা তিন জন বয়া ও ফ্লুট নিয়ে সমুদ্রে ভেসে একটি চরে গিয়ে উঠি। সেখানে আমরা জ্ঞান হারাই। হুঁশ ফিরলে দেখি, কুয়াকাটা হাসপাতালে আছি।”

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কেউ অবগত করেনি। বর্তমানে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ