বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলল অশ্বিনের
Published: 17th, June 2025 GMT
তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল) বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভারতের অভিজ্ঞ অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর নেতৃত্বাধীন দল দিন্দিগুল ড্রাগনসের বিরুদ্ধে মাদুরাই প্যান্থার্স যে অভিযোগ তুলেছিল, তা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি প্রমাণ করতে পারেনি।
১৪ জুন সালেমে দুই দলের ম্যাচ শেষে মাদুরাই কোচ শিজিত চন্দ্রন অভিযোগ করেন, রাসায়নিক ব্যবহার করা তোয়ালে দিয়ে অশ্বিনের দল বলের অবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ করেছিল। তাঁর দাবি, ‘পাওয়ার প্লের পর ব্যাটসম্যানদের শট মারার শব্দ ছিল এমন, যেন তারা পাথর মারছে। বল স্বাভাবিক ছিল না।’
তবে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে টিএনপিএল সিইও প্রসন্ন কানন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচে ব্যবহার হওয়া তোয়ালেগুলো টিএনসিএ কর্তৃক দেওয়া হয়েছিল, দুই দলের জন্যই ছিল। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি বলের অবস্থা পুরো ম্যাচজুড়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। খেলার সময় কোনো অভিযোগ ওঠেনি। কোনো প্রমাণও দিতে পারেননি। অভিযোগগুলো অনুমানভিত্তিক।’
অশ্বিনের দল দারুণ ছন্দে আছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি