বাগেরহাটের তিন পৌরসভার ১৪ কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হয়েছে।

বাগেরহাট স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. ফকরুল হাসান এই বদলির আদেশ দিয়েছেন। বদলি হওয়া কর্মচারীদের আগামী ১৯ জুনের মধ্যে পরবর্তী কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলার এই তিন পৌরসভার ইতিহাসে এবারই প্রথম একযোগে এতোজন কর্মচারীকে বদলি করা হলো। কোনো কোনো কর্মচারী তাদের দীর্ঘ কর্মজীবনে এবারই প্রথমবারের মতো বদলি আদেশ পেলেন। এই বদলি আদেশ পৌরসভাগুলোর কাজকে ত্বরান্বিত করবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।  

গত ১৫ জুন (রবিবার) স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো.

ফকরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার ১৪ কর্মচারীকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। 

আদেশে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখার ১৫ জুন ২০২৫ তারিখের ৪৬০০০০০০০৬৩৯৯০০৩২৪-৯ নম্বর পরিপত্র অনুযায়ী বাগেরহাট পৌরসভা, মোংলাপোর্ট পৌরসভা ও মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত কর্মচারীদের প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনতে জনস্বার্থে এই বদলি করা হল। 

বদলি করা কর্মচারীদের মধ্যে বাগেরহাট পৌরসভার সর্বোচ্চ ১০ জন, মোরেলগঞ্জের ২ জন এবং মোংলা পোর্ট পৌরসভার ২ জন কর্মচারী রয়েছে।

বদলি কর্মচারীরা হলেন- বাগেরহাট পৌরসভার প্রধান সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম, বাজার পরিদর্শক এ কে এম সেলিম, সহকারী কর নির্ধারক মো. সেলিম ফকির, স্বাস্থ্য সহকারী প্রভাত চন্দ্র সাহা, উচ্চমান সহকারী মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার, বনমালা পাল, নিন্মমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হাওয়া খাতুন, আশীষ কুমার হোড়, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক শেখ শহীদুল কবির, রোড রোলার চালক দীপু বিশ্বাস।

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার কর নির্ধারক মো. ফাহাদ হোসেন, স্যানিটারি পরিদর্শক এস এম বাদল। মোংলা পোর্ট পৌসভার নিন্মমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. হাসান ও রোড রোলার চালক মো. সিদ্দিক। 

বাগেরহাট স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. ফকরুল হাসান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মচারীরা একই স্থানে কাজ করছেন। যার ফলে কাজে কিছু স্থবিরতা ছিল। স্থানীয় সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী তাদের বদলি করা হয়েছে। এর ফলে কাজে গতিশীলতা বাড়বে।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ ন য় সরক র ট প রসভ র ম র লগঞ জ ব গ রহ ট র চ লক ম ন সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ