আটঘাট বেঁধে কনটেন্ট নির্মাণে নামেননি ছোঁয়া। ২০২১ সালে বন্ধুদের স্টার্টআপ বা উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক উদ্যোগে সাহায্য করতে মডেল হন। তিনি বলেন, ‘উপার্জনের সুযোগ আছে জেনে পরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফুড ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে যুক্ত হই। প্রথম দিকে রিল ভিডিও করতাম। সব সময় কাজের মধ্যে থাকতে চেয়েছি। তাই স্টুডেন্ট অবস্থায় কাজ করাটা ভালো লাগত সব সময়। আমার জন্য এটা ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। নতুন অনেক কিছু শিখেছি।’

কনটেন্ট নির্মাণপরিকল্পনাসহ দৃশ্যধারণ, সম্পাদনা—সবকিছুই নিজেকে সামলাতে হতো। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে সৃষ্টিশীল হতে পথ দেখিয়েছে বলে জানান ছোঁয়া।
প্রথম নাটকে অভিনয়ের সুযোগটাও আসে কাকতালীয়ভাবে। সিনেমা হলে গিয়ে নাট্যপরিচালকের নজরে পড়ে যান। ছোঁয়া বলেন, ‘সিনেমা হলে ফানি কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে গিয়েছিলাম। সেখান একটি নাটকের শুটিং চলছিল। পরিচালক একটি দৃশ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। অভিনয় নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই তখন আমার ছিল না।’

তাবাসসুম ছোঁয়া। অভিনেত্রীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কনট ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের পরিবারের সাক্ষাৎ

বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ

কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা, ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। 

সেখানে বলা হয়, দিদারুল ইসলামের প্রতি সম্মাননা স্বরূপ পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছি। পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি নিউইয়র্কে তাঁর শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।”

পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে তিনি কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। 

গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল ইসলাম। বন্দুকধারী এক তরুণ সেদিন বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে দিদারুল নিহত হন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ