বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে বন্দুকসহ ৯ জন গ্রেপ্তার
Published: 20th, June 2025 GMT
বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের দুটি পাড়ায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে চারটি গাদা বন্দুক ও সরঞ্জামসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শুক্রবার সকালে চালানো এ অভিযানে আটক ব্যক্তিরা পার্বত্য আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-মূল) সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
আলীকদম সেনা জোন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো.
আটক ব্যক্তিরা হলেন পুনর্বাসন চাকমাপাড়ার আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাতুই চাকমা (৩৫), শান্তিরঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (৪৫) ও জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮) এবং ইমানুয়েল ত্রিপুরাপাড়ার পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছতিয় ত্রিপুরা (৬০) ও জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)।
সেনাবাহিনী জানায়, তাঁদের কাছ থেকে চারটি গাদা বন্দুক, তিনটি ছুরি, দুটি মুঠোফোনসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জেএসএস (মূল)-এর সদস্য হিসেবে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর মতো কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেএসএসের কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। টংকাবতী ইউনিয়নের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আনন্দ মোহন চাকমা পুনর্বাসন চাকমাপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান)। বাকিরা পাড়ার বাসিন্দা।
আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেউ চাঁদা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে সেনা জোনে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ৩৭টি রুগ্ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার
গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭টি রুগ্ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের হায়দরাবাদ এলাকায় এক বছর ধরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। পরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরও গোপনে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই কাজ করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১১টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। একটি ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে ৩৭টি রুগ্ণ ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার করা ঘোড়া ও জব্দ করা ঘোড়ার মাংসগুলো স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে সেগুলো জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কাছে হস্তার করা হবে।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশই রুগ্ণ এবং ঘোড়ার মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ঘোড়ার মাংস ক্রয় ও খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।