সাধভক্ষণে এসে লন্ডনে ফেরা হলো না বৈভব-জিনালের
Published: 21st, June 2025 GMT
কোলজুড়ে প্রথম সন্তান আসবে তাই আনন্দে আটখানা ছিলেন বৈভব পেটেল ও জিনাল গৌস্বামী দম্পতি। তাদের পরিবারেও চলছিল উৎসবের আমেজ। তাই পারিবারিক রীতি মানতে সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভারতে আসেন তারা। পারিবারিক রীতি-নীতি আর উৎসবের মধ্য দিয়ে ২ জুন সাধের অনুষ্ঠান হয়। পরে ১২ জুন লন্ডনে ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু আহমেদাবাদের সেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা। মুহূর্তেই পুরো পরিবারের আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে।
১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে করেই লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বৈভব-জিনালের। কিন্তু ওই বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন যাত্রীর সঙ্গে প্রাণ হারান তারাও। বৈভব-জিনাল দম্পতির বাড়ি ঢোলকা তেহশিলের কেলিয়া ভাসনা গ্রামে। খবর এনডিটিভির
বৈভব-জিনালের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, বৈভব পরিবারের বড় ছেলে। তার বাবা নেই, তাই তার কাঁধে পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল। প্রথম সন্তানের আগমন উপলক্ষে খুব উচ্ছ্বসিত ছিল তার পুরো পরিবার। ১২ জুন বিমানে ওঠার আগেও আমাকে ফোন করেছিল বৈভব। তার এ মৃত্যু আমি মানতে পারছি না। বৈভবের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমরা একসঙ্গে অনেক ট্যুর দিয়েছি। বৈভবের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল।
জিনালের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিমানে একটি কৃষ্ণমূর্তি নিয়ে উঠেছিল জিনাল। বিমান ভেঙে পড়ার স্থান থেকে কেবল ওই মূর্তিটিই উদ্ধার হয়েছে। জিনাল-বৈভবের মরদেহ তারা পাননি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আহমেদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে বিমানটি উড্ডয়নের পর তা ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং দ্রুত নিচে নেমে আসে। এরপরই এটি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ আগুনে পরিণত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গুজরাটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে ছিলেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত ন হত দ র ঘটন য় পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানা
আগামীকাল ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতি-বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য এই দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবে পালন করার জন্য।
বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ছুটির ঘোষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ১১০ মোতাবেক প্রতি বছর বছরের শুরুতে ১১ দিন উৎসব ছুটি নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকার বছরের মাঝামাঝি সময়ে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় উক্ত ছুটি উৎসব ছুটির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানাগুলোর জন্য উক্ত ছুটি বাধ্যতামূলক নয়। তবুও, বিজিএমইএ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সকল পোশাক শিল্প কারখানাগুলোকে সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে।
গত ২ জুলাই সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস-আদালতে ছুটি নির্ধারণ করে।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা