কোলজুড়ে প্রথম সন্তান আসবে তাই আনন্দে আটখানা ছিলেন বৈভব পেটেল ও জিনাল গৌস্বামী দম্পতি। তাদের পরিবারেও চলছিল উৎসবের আমেজ। তাই পারিবারিক রীতি মানতে সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভারতে আসেন তারা। পারিবারিক রীতি-নীতি আর উৎসবের মধ্য দিয়ে ২ জুন সাধের অনুষ্ঠান হয়। পরে ১২ জুন লন্ডনে ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু আহমেদাবাদের সেই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা। মুহূর্তেই পুরো পরিবারের আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে।

১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে করেই লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বৈভব-জিনালের। কিন্তু ওই বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন যাত্রীর সঙ্গে প্রাণ হারান তারাও। বৈভব-জিনাল দম্পতির বাড়ি ঢোলকা তেহশিলের কেলিয়া ভাসনা গ্রামে। খবর এনডিটিভির 

বৈভব-জিনালের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, বৈভব পরিবারের বড় ছেলে। তার বাবা নেই, তাই তার কাঁধে পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল। প্রথম সন্তানের আগমন উপলক্ষে খুব উচ্ছ্বসিত ছিল তার পুরো পরিবার। ১২ জুন বিমানে ওঠার আগেও আমাকে ফোন করেছিল বৈভব। তার এ মৃত্যু আমি মানতে পারছি না। বৈভবের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমরা একসঙ্গে অনেক ট্যুর দিয়েছি। বৈভবের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল। 

জিনালের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিমানে একটি কৃষ্ণমূর্তি নিয়ে উঠেছিল জিনাল। বিমান ভেঙে পড়ার স্থান থেকে কেবল ওই মূর্তিটিই উদ্ধার হয়েছে। জিনাল-বৈভবের মরদেহ তারা পাননি।  

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আহমেদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে বিমানটি উড্ডয়নের পর তা ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং দ্রুত নিচে নেমে আসে। এরপরই এটি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ আগুনে পরিণত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গুজরাটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে ছিলেন।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত ন হত দ র ঘটন য় পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে সামুদ্রিক খাবার নিয়ে জমজমাট উৎসব

ইলিশ, কোরাল, চিংড়ি, লবস্টারসহ সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের খাবার থরে থরে সাজানো রয়েছে টেবিলে। ভোজনরসিক পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ঘুরে ঘুরে দেখছেন এসব খাবার। মুখে নিয়ে এর স্বাদও উপভোগ করছেন। গতকাল শুক্রবার দিনভর এমনই দৃশ্য দেখা গেছে কক্সবাজারের হোটেল রামাদায় আয়োজিত সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় উৎসবের আয়োজন করে এমবোলডেন বাংলাদেশ, নেক্সট শিখন ও হোটেল রামাদা কর্তৃপক্ষ।

উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, ১৬টি স্টলে খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ইলিশ, কোরাল, চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার, স্কুইডসহ নানান সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব খাবার। উৎসবে ইলিশের আচার, সামুদ্রিক মাছের পিঠা, শৈবাল দিয়ে তৈরি করা স্যুপ-পুডিংয়ের স্বাদ নিতে দেখা যায় কয়েকজনকে।

একটি স্টলে হরেক পদের সামুদ্রিক খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল বিকেলে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুস্থ থাকার মন্ত্রে নানা আয়োজনের ফ্লো ফেস্ট
  • ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষে কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব
  • কক্সবাজারে সামুদ্রিক খাবার নিয়ে জমজমাট উৎসব
  • নেত্রকোনায় আজ ‘কিচ্ছা উৎসব’
  • কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে শত্রুঘ্ন–মমতা–সৌরভ এক মঞ্চে
  • ‘আলফ্রেড কোভালকোভিস্কি পুরস্কার’ পেলেন হাসানআল আব্দুল্লাহ
  • মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির ১০০ দিন এবং সঙ্গীত ও শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব
  • এলাকার নামেই সিনেমা—আবেগে ভাসলেন পাইকগাছার মানুষ
  • মহারাসলীলা উৎসব
  • স্বপ্ন, সাহস আর নেতৃত্বের উৎসবে অনুপ্রাণিত হলো হাজারো মানুষ