ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ
Published: 21st, June 2025 GMT
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ করতে নানামুখী কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। এর অংশ হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ফোনালাপ হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সর্বশেষ বক্তব্যে জানা গেছে, তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
মাখোঁ জানান, ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা আরও দ্রুততর করতে তিনি (ইরানের প্রেসিডেন্ট) সম্মত হয়েছেন।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলছি, ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। এটি ইরানের দায়িত্ব যে, তারা তাদের কর্মসূচি যে শান্তিপূর্ণ, সেটা প্রমাণে সব রকম নিশ্চয়তা দেবে।’
মাখোঁ আরও বলেন, তিনি নিশ্চিত, এই যুদ্ধ থেকে উত্তরণের পথ আছে এবং বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।
এ লক্ষ্যে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় অংশীদারদের নেতৃত্বে ইরানের সঙ্গে চলমান আলোচনা ত্বরান্বিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাঁখো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণবার্ষিকী আজ
বর্ষা ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় ঋতু। বর্ষাতেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরলোকে যাত্রা করেছিলেন বাঙালি মনন–সৃজনের এই অসাধারণ প্রতিভা। আজ ২২ শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈতৃক বাড়িতে তাঁর জীবনাবসান হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখালেখি শুরু করেছিলেন মাত্র আট বছর বয়সে। বিচিত্র তার বিষয়, বিপুল তার পরিমাণ। তাঁর সৃজনপ্রতিভা বাংলা কাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণ, চিঠিপত্র, শিশুসাহিত্যসহ বাংলা সাহিত্যকে স্বর্ণময় উজ্জ্বলতা দান করেছে। গীত রচনা ও সুরস্রষ্টা হিসেবে তিনি নিজেই নিজের তুলনা। চিত্রকলা নতুন মাত্রা লাভ করেছে তাঁর প্রতিভায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষাবিস্তার, সাংগঠনিক কর্ম ও সমাজকল্যাণমূলক কাজেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি কৃষক ও পল্লি উন্নয়নের জন্য চালু করেছিলেন কৃষিঋণব্যবস্থা। নতুন ধরনের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠান। জালিয়ানওয়ালাবাগে দেশবাসীর ওপর ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সেনাদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে তিনি ত্যাগ করেছিলেন নাইটহুড খেতাব।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা সুন্দরী দেবী দম্পতির ১৫ সন্তানের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ১৪তম। কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তাঁর জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ। ঠাকুর পরিবার তখন ছিল মর্যাদা ও সংস্কৃতিচর্চায় বিশেষ খ্যাতির অধিকারী। সেই পরিবেশ শৈশবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনকে মুক্ত করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে বিশেষত বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় নৌকায় ভ্রমণের মধ্য দিয়ে তিনি নিসর্গ ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছিলেন, যার প্রভাব তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে পড়েছে।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও কবির গান সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর গান আমাদের জাতীয় সংগীত। সব মিলিয়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বাঙালির হৃদয়ে অম্লান হয়ে আছেন।
বিশ্বকবির প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট মিলনায়তনে রয়েছে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আয়োজনে হবে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে বিকেল চারটায় এ অনুষ্ঠান শুরু হবে।