ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজের ট্রফির নতুন নাম ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’, এটা কিছুটা পুরোনো খবর। নতুন খবর হচ্ছে, ট্রফির নাম পছন্দ হয়নি ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারের। নাহ্‌, যে দুজনের নামে ট্রফির নাম রাখা হয়েছে, সেটা নিয়ে তাঁর মূল আপত্তি নয়। আপত্তি হচ্ছে, টেন্ডুলকারের নাম কেন পরে দেওয়া হলো! তাঁর মতে, নাম হওয়া উচিত ছিল ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি’।

ট্রফির নামটা অবশ্য রেখেছিল দুই দেশের দুই ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি ও বিসিসিআই মিলে। আগে ভারত ইংল্যান্ডে খেলতে গেলে ট্রফির নাম হতো পতৌদি ট্রফি আর ইংল্যান্ড ভারতে খেলতে গেলে নাম হতো অ্যান্থনি ডি মেলো ট্রফি। তবে চলমান এ সিরিজ থেকে সব সিরিজের একটাই নাম থাকবে—অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি।

অ্যান্ডারসনের নামটা কেন আগে, সে ব্যাখ্যা অবশ্য কোনো বোর্ডই দেয়নি। অনেকের মতে, বর্ণানুক্রমে অ্যান্ডারসনের নাম আগে আসে বলেই ট্রফির নামটাও এভাবে রাখা হয়েছে। তবে মিড–ডেতে লেখা এক কলামে গাভাস্কার এ নিয়ে ভালোই ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য ন ড রসন ট ন ড লক র

এছাড়াও পড়ুন:

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষণা পরিচালক ইসাবেল লাসে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের এই রায় অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে বিবেকের বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কখনো উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বাংলাদেশের (তৎকালীন) কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পদ্ধতিগত ও সহিংস উপায়ে দমন-পীড়ন চালানোর ধারা পরিবর্তন করাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ইসাবেল লাসে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, নিজেদের আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যেসব কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করা। যাঁরা এসবের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজের দিকে যাত্রা করছে বলে অনেকে আশা করছেন, তাই সেখানে এ ধরনের দমনমূলক কৌশলের কোনো স্থান নেই।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, শহিদুল আলমের মামলা বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। মতপ্রকাশের কারণে তাঁকে ১০০ দিনের বেশি আটকে রাখা হয়েছে এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাঁর এগুলোর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ