নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় প্রবাসী সোহরাব হোসেন সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমগাঁওয়ের প্রবাসী তাঁর বাড়ির পাশের পুকুর এক সপ্তাহ আগে মাছ চাষ করার জন্য প্রস্তুত করেন। বিএনপি নেতা শাহজাহান ভূঁইয়া ও তাঁর লোকজন প্রবাসীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আজ দুপুরে শাহজাহানের নেতৃত্বে আলিফ ভূঁইয়া ও ফারজানা করিমসহ ১০-১২ জন তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে শাহজাহান বন্দুক তাক করে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা পারভীন এগিয়ে এলে তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, পুকুর সংস্কারের নামে আমার গাছপালা কেটে ফেলছিল। বাধা দিতে গিয়ে আমি মারধরের শিকার হয়েছি। আমার বৈধ বন্দুক পরিষ্কার করার সময় কেড়ে নেয়। সেটা ফিরিয়ে আনার সময় ছবি তুলে অপপ্রচার করছে।

সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম বলেন, ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী প্রমাণ হলে তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ শ হজ হ ন প রব স ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার, ছেলে পলাতক

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি কলাবাগান থেকে গত মঙ্গলবার রাতে ছামছুর আলী খলিফা (৬০) নামের এক বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার পর হত্যার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির বাড়ি থেকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর আলামত জব্দের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল বুধবার নিহত ছামছুরের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা বাদী হয়ে তাঁর ভাতিজা মো. রাসেল খলিফা ও ভাবি মোছা. রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে রাসেল খলিফা আত্মগোপনে আছেন।

নিহত ছামছুর আলী খলিফার বাড়ি পাশের নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া-বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে বস্তা ভরা তাঁর দগ্ধ লাশ পাওয়া যায়।

পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছামছুর আলীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বৃদ্ধ ছামছুর আলী ও তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ ওই দিন রাতে আক্কেলপুরে কলাবাগানে পোড়া লাশ উদ্ধারের পর বৃদ্ধের ছেলেকে ফোন করে। তখন তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার নগরকুসুম্বি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাসেল খলিফা পুলিশকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বলার পর ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান। পরদিন পুলিশের একটি দল নিহত ব্যক্তির বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির আঙিনায় একটি মাটির পাতিলের ভেতরে বৃদ্ধের মুঠোফোন ও লাশ পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত গোবরের লাকড়ি জব্দ করে। পরে লাশ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাসেল খলিফার অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়। তবে এখনো রাসেল খলিফার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।

মামলার বাদী মুজাহিদ খলিফা বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আমার বড় ভাই ছামছুর খলিফাকে তাঁর ছেলে রাসেল খলিফা হত্যা করেছে। লাশ গুম করতে কলাবাগানে আমার ভাইয়ের মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিন্নাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ