মুন্সীগঞ্জে পাঁচ উপদেষ্টা, শিমুলিয়া ঘাটে হবে কনটেইনার পোর্ট
Published: 23rd, June 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৬ কোটি টাকা।
গতকাল রোববার শিমুলিয়া এলাকায় ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার বন্দর নির্মাণে অর্থায়নের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদ্বারিত্বে পর্যটন যেটি হবে, তা উন্মুক্ত থাকবে। কেউ চাইলে বিনিয়োগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। বিআইডব্লিউটিএর সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন এটি বাস্তবায়ন করবে।’
এর আগে দুপুরে ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে পাঁচ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা হয়। এতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, পরিকল্পনায় রিভার মিউজিয়াম, নদীর পাড়ে ইকো রিসোর্ট, সুইমিং পুল, কিডস জোন, শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য রক্ষায় নদীতীরে একটি ফেরিঘাট পুনস্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে।
পুরো এলাকা চারটি জোনে ভাগ করা হবে। এ-জোনে থাকবে মোংলা বন্দরের আদলে ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল ও বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব আইটি ভবন, বি-জোনে ট্রাক পার্কিং এরিয়া, সি-জোনে প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ডি-জোনে ফেরিঘাটের জন্য বাস পার্কিং ছাড়াও থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, ওয়াকওয়ে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু
ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।
শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস