মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনের ঘটনা নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন
Published: 24th, June 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনে যা হচ্ছে তা ‘মূল্যায়ন অযোগ্য’ বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কোটি মানুষের সেবাদাতা নগর ভবন দিনের পর দিন তালাবদ্ধ করা ও থাকতে দেওয়ার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। রাজনীতি ও পদবির জন্য প্রতিষ্ঠান ও জনতাকে এভাবে জিম্মি করার ঘটনা একটি নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি চাকরিজীবীদের অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত মাত্রায় অবস্থান করতে হয়। একজন সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না, দলীয় রাজনীতি করতে পারেন না। একইভাবে তাঁরা কোনো দাবি আদায়ে বিক্ষোভ বা অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ফলাফলনির্ভর। এই মৌলিক নীতিকে সামনে রেখে চাকরিবিধি সংস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে জিডিপি-কর অনুপাত খুবই খারাপ অবস্থায়। সেটা উন্নত করার জন্য রাজস্ব খাতের সংস্কার অপরিহার্য ছিল। সংস্কারে কারও কারও দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে জনগণকে জিম্মি করা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সামগ্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও সরকারি চাকরিবিধিতে সংস্কার আনা হয়েছে। যেকোনো পরিবর্তন একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। সেই অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনাই উত্তম পন্থা। কিন্তু রাজস্ব খাতের সংস্কার ও চাকরিবিধির পরে রাজস্ব খাত ও সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। একটি আধুনিক ও কার্যকর রাষ্ট্রে জনপ্রশাসনে এমন অচলাবস্থা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন। যৌক্তিক কোনো বিষয় থাকলে তা আমলে নিন। অযৌক্তিক কোনো কিছু নিয়ে কেউ গোঁ ধরলে তাঁকে আইনের আওতায় আনুন। কিন্তু জনগণের টাকায় বেতন নেবেন, কিন্তু তাঁদের সেবা না দিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন স আহম দ ইসল ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লিওনেল মেসির আজ জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে
শুরুটা হয়েছিল একটা স্যুটকেস থেকে কিংবা একটা ন্যাপকিন পেপার অথবা একটা বাইসাইকেল থেকে। সেসব তখন ছিল বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। ধীরে ধীরে ঘটনাগুলো জোড়া লেগে রূপান্তরিত হলো একটা পূর্ণাঙ্গ গল্পে। স্মৃতির সেসব পাথরখণ্ড এখন গল্পের জগৎ পেরিয়ে মিথ বা কিংবদন্তিতে রূপ নিয়েছে। কে জানে, হয়তো কোনো এক মনোরম মনোটোনাস সকালে কফির মগ হাতে মনে মনে সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন রূপকথার সেই মহানায়ক, যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই অনবদ্য গল্পগাথা।
রূপকথার সেই গল্পের মহানায়কের নামটা যে লিওনেল মেসি, তা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। আজ ৩৮তম জন্মদিনে মেসি কি আরেকবার সেসব রূপকথার দিকে ফিরে তাকাবেন? হয়তো তাকাবেন, হয়তো না। কিন্তু আমরা তো কাঁটায় হেঁটে মুকুটের সন্ধান পাওয়া সেই গল্পটার দিকে ফিরে তাকাতেই পারি।
একজন মানুষের দেবদূত হয়ে ওঠার যাত্রাটা আরেকবার দেখে নিয়ে বলতে পারি, ‘এমন মানবজনম আর কি হবে।’ নাহ, এমনটা সব সময় হয় না। কখনো কখনো হয়, কদাচিৎ কেউ কেউ আসেন প্রকৃতির বর নিয়ে। যাঁর হাতে প্রকৃতি তুলে দেয় হ্যারি পটারের সেই জাদুর ছড়ি, যা মুহূর্তেই মাটিকে বদলে দিতে পারে হীরকখণ্ডে।
আরও পড়ুনফ্রি–কিকের সময় কী ভাবেন মেসি? গোল হয় কোন কৌশলে২১ জুন ২০২৫‘মেসি’ নামের এই মহাকাব্যটা লেখা শুরু হয়েছিল ৩৮ বছর আগে আজকের এই দিনে। কিন্তু এই গল্প যেন আর কখনোই শেষ হওয়ার নয়। অনন্তকাল ধরে বিনি সুতার মালায় গাঁথা হতে থাকবে সেই গল্পটা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াবে এক অলৌকিক জাদুকরের গল্প, যে গল্পে একজন মানুষ ভীষণ কঠিন এক লড়াই শেষে পান করবেন অমরত্বের সঞ্জীবনী।
কিন্তু অমরত্বের পর আর কী? আর্জেন্টাইন সাহিত্যিক রবার্তো ফুনতানারোজার ‘এন আর্জেন্টাইন’স হেভেন’ নামক গল্পে একদল মানুষ মৃত্যুর পরে কীভাবে ফুটবল খেলা দেখার মধ্য দিয়ে স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন সেটা দেখিয়েছিলেন। ফুটবলীয় সেই স্বর্গ কাতারে আড়াই বছর আগেই পেয়ে গেছেন মেসি। আঙুলের ইশারায় পুরো পৃথিবীকে একাই নাচিয়ে তুলেছিলেন ট্যাঙ্গোর তালে। কিন্তু এরপর? অমরত্বের পর সত্যিই কি কিছু থাকে? হ্যাঁ থাকে। অমরত্বের পর থাকে উপভোগ। অমরত্বের পর থাকে বয়ে যাওয়া।
বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে লিওনেল মেসি