যশোরের বেনাপোল পৌর কৃষক দলের সভাপতি জসিম উদ্দীনকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার আদালতে হাজির হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জসিম উদ্দীন বেনাপোল পৌর শহরের সাদিপুর গ্রামের মোশারফ বিশ্বাসের ছেলে। 

এ দিকে জসিম কারাগারে যাওয়ায় তার পদ স্থগিত করেছে কৃষক দল। মঙ্গলবার সংগঠনের যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন যশোর পৌরসভার শংকরপুর ইসহক সড়কের বাসিন্দা এক নারী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জসিমের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর পাঁচ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তা বন্ধুত্ব ও প্রেমে রূপ নেয়। কয়েকদিনের মধ্যেই জসিম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং তাতে রাজি হন ওই নারী। এরপর বেনাপোলে একটি হোটেল এবং ঝিনাইদহে জসিমের খালার বাড়িতে নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন জসিম। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিলও শহরের হোটেল নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি। পরবর্তীতে জসিম বিয়ে করবেন না বলে টালবাহানা শুরু করেন। গত ২৩ এপ্রিল তিনি শহরের আইনজীবী সমিতি এলাকায় উপস্থিত হয়ে একই কথা জানান এবং ওই নারীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যান। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী নারী কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

যশোর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বলেন, বেনাপোল পৌর কৃষক দলের সভাপতি জসিম উদ্দীনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র-ইয়াবাসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবাসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন যুবকের মধ্যে দুজন ভাই। তাঁরা হলেন পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আহম্মদ ফারুক ও আহম্মদ আল আরেফিন। গ্রেপ্তার অপরজন হলেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্ছানগর এলাকার তোফায়েল আহম্মদের ছেলে আহসান আহম্মেদ।

পুলিশ জানায়, অভিযানে ওই বাসা থেকে ২টি এলজি, ৩টি রামদা, ৫টি চাকু, ১টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২দুটি গুলি, ৮৩টি ইয়াবা বড়ি, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ৪টি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব খাতায় মাদক ব্যবসার হিসাব রাখা হতো।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযানে আটক তিনজনকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ