নাটোরে বাসচাপায় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহতের ঘটনায় বাসচালক মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। 

আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত মামুনুর রশিদকে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত আটটার দিকে রাজশাহীর চকপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামুনুর রশিদ রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভাংড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।

ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান জানান, গত ২০ জুন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাব্বী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের বনবেলঘড়িয়া এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে চালকসহ মোট চারজন নিহত হন।

এ ঘটনায় সিএনজি চালক বাবুর স্ত্রী বাদী হয়ে সড়ক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বাসচালক মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

ঢাকা/আরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য

এছাড়াও পড়ুন:

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ সমতায় দ. আফ্রিকা

অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরে এসেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ঝলক দেখালেন কুইন্টন ডি কক। তার ঝলমলে ইনিংসের কল্যাণে ফয়সালাবাদে পাকিস্তানকে একেবারে পাত্তাই দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয়ে সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ২৬৯ রানের সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিটজকের দল। এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এর চেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড তাদের আছে কেবল ২০২৩ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে (২৭১ রান)।

রান তাড়ায় ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল দারুণ আগ্রাসী। পাকিস্তানি বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন ডি কক ও তার সঙ্গীরা। পুরো ইনিংসে দলীয়ভাবে আসে ১১টি ছক্কা। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের ওয়ানডে ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১১৯ বলের ঝলমলে ইনিংসে ১২৩ রান করে ম্যাচসেরা হন ডি কক।

রান তাড়া করতে নেমে লুহান প্রিটোরিয়াস ও ডি ককের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮১ রান, যা দলের ভিত্তি গড়ে দেয়। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর ডি ককের সঙ্গে ক্রিজে আসেন টনি ডি জর্জি। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৫৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। এই সময় পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চলে নির্দয় ব্যাটিং। ফাহিম আশরাফ ডি কককে ফেরালেও তখন দক্ষিণ আফ্রিকা জয় থেকে মাত্র ৩৬ রান দূরে। ডি ককের ব্যাট থেকে আসে অসাধারণ ২২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

৬৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে জর্জও দলীয় সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখেন। শেষ পর্যন্ত ব্রিটজকের সঙ্গে কাজ সারেন ডি কক। নিশ্চিত করেন সহজ জয়।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভয়াবহ সূচনা করে পাকিস্তান। মাত্র ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিন টপ-অর্ডার ফখর জামান (০), বাবর আজম (১১) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪)। প্রোটিয়া পেসার নান্দ্রে বার্গার ও করবিন বশ তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।

চতুর্থ উইকেটে সায়েম আইয়ুব ও সালমান আলি আগা মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। যা কিছুটা ভরসা ফেরায় স্বাগতিক শিবিরে। ৬৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন সায়েম। এরপর আবার ধস নামে ব্যাটিংয়ে। ৩০ ওভারেই পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৩০/৫।

শেষ দিকে সালমান আগার ৬৯ (১০৬ বলে) ও মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ো ৫৯ (৫৯ বলে) রানে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ফাহিম আশরাফও যোগ করেন ১৮ বলে ২৮ রান। তবে সেটি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

প্রোটিয়াদের বোলারদের মধ্যে নান্দ্রে বার্গার নেন ৪ উইকেট। পিটার ৩টি ও বশের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।

এই জয়ে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো এক অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে দুই দলই মরিয়া থাকবে ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ সমতায় দ. আফ্রিকা
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২