ইকসু গঠন ও আইন প্রণয়নের দাবি ইবির ২ ছাত্র সংগঠনের
Published: 25th, June 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন, আইন প্রণয়ন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে দুইটি ছাত্র সংগঠন।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে পৃথকভাবে এ স্মারকলিপি প্রদান করে তারা এসব দাবি জানান।
সংগঠন দুইটির স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
পদ্মায় গোসলে নেমে ২ কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
র্যাগিং প্রতিরোধে জবির সব বিভাগে কমিটি
ইবি শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ১০ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এ সময় সংগঠনটির শাখা সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাব্বির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামাতুল্লাহ ফারিস, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল তাকবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, একাডেমিক এলাকায় নানাবিধ সমস্যা ও অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি এবং নীতিগত কিছু পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মানসিক-শারীরিক স্বস্তি ও সামাজিক ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- অনতিবিলম্বে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা ব্যতীত অন্যান্য অযৌক্তিক সব কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে; কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কার করার জন্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে; মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
অন্য দাবিগুলো হলো- সেশনজট নিরসনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে; শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে ভর্তি ফি কমিয়ে আনতে হবে; সুন্দর ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ইকসু আইন প্রণয়ন ও ইকসু রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে; শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিটি ভবনে আধুনিক ও কার্যকর পানির ফিল্টার স্থাপন করতে হবে।
এছাড়া কর্মচারীদের দায়িত্বে তদারকি করতে মনিটরিং সেল তৈরিসহ একাডেমিক শাখায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসন, নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হলগুলোতে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করে হাইজিন সামগ্রী ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে উন্নত সেবা প্রদানের দাবি জানান সংগঠনটি।
৩ দফা দাবিতে ইবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)
অন্যদিকে, ইকসু আইন প্রণয়ন ও গঠন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অযৌক্তিক কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে উপচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ইবি প্রতিনিধিরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের আদর্শের ধারক ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন, জুলাই আদর্শের আলোকে ছাত্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও বৈষম্যহীন শিক্ষাঙ্গণ তৈরিতে সচেষ্ট। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনায় উপর্যুক্ত লক্ষ্য অর্জনের স্বার্থে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বাধ্য হবে।
তাদের দাবিগুলো হলো- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পুনর্বিবেচনা করে সিন্ডিকেটের অনুমোদনের মাধ্যমে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনে ইকসু আইন প্রণয়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ভর্তি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলসহ অন্যান্য কোটা ব্যবহারের সুযোগ হ্রাস করা; জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারীদের বিচারের লক্ষ্যে যে তদন্ত কমিটি গ্রহণ করেছে তার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে অনতিবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
স্মারকলিপির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, “তাদের শিক্ষার্থীবান্ধব দাবিগুলোর ব্যাপারে আমরা একমত। তবে ইকসু গঠনের ব্যাপারে কিছু আইনি জটিলতা আছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ইকসুর ব্যাপারটা অন্তর্ভুক্ত নেই। বেশ কয়েকটি দাবির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসন ইতোমধ্যেই কাজ করছে, বাকিগুলোও বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন প রণয়ন গণত ন ত র ক র স ম রকল প উপ চ র য পদক ষ প ইসল ম গ রহণ স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল
এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গত ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে ন্যূনতম নম্বর, শ্রেণির সঙ্গে যে জিপিএ/সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে তা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেন কয়েকজন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ উজ্জলসহ তিনজন প্রার্থী রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রেডিং সিস্টেম নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নীতিমালা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষাসচিব, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।