চট্টগ্রামের সাবেক তিন এমপিসহ ১০ জন শ্যোন অ্যারেস্ট
Published: 26th, June 2025 GMT
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে দোকানকর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় কারাবন্দি চট্টগ্রামের সাবেক তিন এমপিসহ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তফা।
১০ জন হলেন– চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক এমপি এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু, রেখা আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বশর, মোহাম্মদ এমরান ও তাঁর স্ত্রী জিনাত সোহানা চৌধুরী, আকবর আলী ও রেজাউল হাসান সবুজ।
দোকানকর্মী শহিদুল ইসলাম ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার কাঁচা বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালান। ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন শহিদুলের ভাই।
মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, শহিদুল নিহতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই নুরুল হক এজাহারবহির্ভূত ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে শ্যোন অ্যারেস্টের আদেশ দিয়েছেন।
তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা ও আন্দোলন দমাতে অর্থায়নের তথ্য পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। ১০ জনের মধ্যে ফজলে করিম চৌধুরী ছাড়া বাকিদের শুনানির সময় আদালতে হাজির করা হয়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকায় তাঁকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ১০ জন
এছাড়াও পড়ুন:
আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্সের দূত
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ইসরায়েল–ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ওফার ব্রনসটাইন বলেছেন, আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশও থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন ওফার ব্রনসটাইন। সেখানে আল–জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ওফার ব্রনসটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল সরকার অনেক বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর কী হবে, সে বিষয়ে দুই পক্ষের কেউই কোনো বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিচ্ছে না।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান একমাত্র কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। আমরা দেখেছি, সহিংসতা ও যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। এভাবে কোনো সমাধান হবে না।’
ওফার ব্রনসটাইন বলেন, ফ্রান্সকে অনুসরণ করে যুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলোসহ আরও অনেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করেছে। কিন্তু তারা এটি স্বীকার করতে চায় না। বরং উল্টো ওই অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সরকার যদি মনে করে, ইসরায়েল ভূমি যুক্ত করার বা অন্য কোনো বড় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একই আচরণ করব, যেমন আচরণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য করছি।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে আরও ছয় দেশের স্বীকৃতি, সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্প ২২ ঘণ্টা আগেওফার ব্রনসটাইন আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তিনি হামাসকে তাদের কাছে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যদি এটি না করে, তাহলে এই ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগের দিন সোমবার নিউইয়র্কে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। সব মিলিয়ে দুই দিনে ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।