পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের সুরক্ষা ব্যূহের অভেদ্যতা ও দৃঢ়তার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে নকশা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তামান পাওয়া গেছে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরীক্ষার লক্ষ্য ছিল কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কন্টেইনমেন্টের ভেতর চাপ বেড়ে গেলে তা কতটুকু সহ্য করতে সক্ষম, তা যাচাই করা। এ জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কম্প্রেসারের মাধ্যমে কন্টেইনমেন্টের ভেতর চাপ বাড়ানো হয়। পরীক্ষায় অবকাঠামোর দৃঢ়তা ও অভেদ্যতার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। পরমাণু জ্বালানি লোডিংয়ের আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। 

তারা আরও জানান, প্রিস্ট্রেসড রিইনফোর্সড কংক্রিট দিয়ে নির্মিত রিঅ্যাক্টর কন্টেইনমেন্ট অতি সুদৃঢ় একটি কাঠামো। এর ভেতরের দেয়ালে রয়েছে একটি শক্ত ইস্পাতের আবরণ। রিঅ্যাক্টর কমপার্টমেন্টটি এমনভাবে নকশা করা, যাতে বাহ্যিক আঘাত বা কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ এর বাইরে বের হতে না পারে। 

এদিকে রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে শিগগির আরও কিছু পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট এসব পরীক্ষার সময় উচ্চ শব্দ উৎপন্ন হবে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন প রকল প পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”

আরো পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”

“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”

জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।

এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ