কৃষিখাতে পদোন্নতি বা বদলিতে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি বলেছেন, পোস্টিং বা পদোন্নতিতে কেউ টাকা-পয়সা লেনদেন করলে তার লাইফ হেল করে দেওয়া হবে। এসব কাজ হতে হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধনী)’ জাতীয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো.

ছাইফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটোওয়ারী, ডিএই পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) হাবিবউল্লাহ এবং হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দীন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম।

প্রকল্প পরিচালক জানান, এ প্রকল্পের কারণে এক দশকে দেশে ফলের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বর্তমানে ড্রাগন ফলের উৎপাদন ৬৮ হাজার ৮৬৩ মেট্রিক টন। আপেল আমদানিও কমেছে। ইতোমধ্যে ৯ হাজার বাণিজ্যিক ফল বাগান গড়ে উঠেছে এবং ২৮ হাজার ৫০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১৪টি হর্টিকালচার সেন্টারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আগে যেখানে বছরে দেড় কোটি চারা উৎপাদন হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটিতে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদন ও রোপণ বন্ধের বিষয়ে কৃষি সচিব বলেন, দেশে এখনো ২ কোটি ৫০ লাখ চারা রয়েছে। এগুলো নার্সারি থেকে কিনে মেরে ফেলতে হবে।

কৃষি সচিব বলেন, প্রত্যেক ক্যাডারের প্রশিক্ষণ থাকলেও কৃষিতে নেই। আমরা রপ্তানি বাড়াতে বলছি, অথচ অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা উপেক্ষিত। প্রকল্প থাকুক আর না থাকুক, চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডিডি, পিডি বা উপজেলা কর্মকর্তাদের নিয়োগে পোল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদের ভালো পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

নগদের পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশ

ডাক অধিদপ্তরের ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুতাসিম বিল্লাহকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে ডাক বিভাগ। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদও পুনর্গঠনের মতামত দেওয়া হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মনিরা আক্তার। প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নগদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হয়।

নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহকে। পাশাপাশি তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসরিয়াল ফেলো।

পর্ষদ পুনর্গঠন নিয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদাধিকারবলে নগদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। এ ছাড়া থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ব্যাংকিং রেগুলেটরি অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক।

এ ছাড়া বেসরকারি খাত থেকে পর্ষদে যুক্ত রাখার কথা বলা হয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক খন্দকার সাব্বির মোহাম্মদ কবির, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্য এইচ এম বাররু সানিকে।

প্রস্তাবিত নতুন সিইও ও পরিচালনা পর্ষদের অধীন নগদ আরও কার্যকর ও জনমুখী সেবা নিশ্চিত করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ