উইগ্রোর সহায়তা পাওয়া কৃষকদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন
Published: 26th, June 2025 GMT
হাইভ্যালু কৃষিপণ্য উৎপাদনে সক্ষম করে তুলতে জয়পুরহাটে প্রায় এক হাজার ক্ষুদ্র কৃষককে কৃষি উপকরণ ও প্রশিক্ষণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম উইগ্রোর সহায়তায় এ কৃষকদের মধ্যে অনেকেই ঋণসুবিধা নিয়ে সফলভাবে মৌসুমভিত্তিক চাষাবাদ সম্পন্ন করেছেন; বাকিরা এখনো এ প্রকল্পের অধীনে চাষাবাদ ও গবাদিপশু পালনের সঙ্গে যুক্ত।
গত সোমবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় উইগ্রোর সহায়তা পাওয়া ৫০ জনের বেশি কৃষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গত দুই বছরে প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, আক্কেলপুরের প্রায় ১৩০ কৃষক উইগ্রোর সহায়তা লাভ করেছেন।
অনুষ্ঠানে কৃষকদের উদ্দেশে উইগ্রোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ফাইয়াজ সাফির বলেন, ‘এই উদ্যাপনের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি দেশের কৃষি খাতের ইতিবাচক রূপান্তরে ভূমিকা রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে আরও লাভজনক ও টেকসই করে তুলতে ঋণসহায়তার পাশাপাশি কৃষকদের উন্নত মানের বীজ, সার ও কীটনাশক প্রদান করেছে উইগ্রো। পাশাপাশি, এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কেও ধারণা প্রদান করা হয়। দেশের ৪০টির বেশি উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার কৃষকের সঙ্গে কাজ করছে উইগ্রো প্ল্যাটফর্ম।
এ পর্যন্ত কৃষকদের প্রায় ১ কোটি ২ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে উইগ্রো। এর মধ্যে সফল কার্যক্রমের ফলে কৃষকেরা ৭৮ লাখ ডলার পরিশোধ করে দিয়েছেন। উইগ্রোর কার্যক্রম নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আরিফ রহমান জানান যে কৃষকদের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই উইগ্রোর লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতেও কৃষকদের যাত্রায় পাশে থাকবে উইগ্রো।
২০২৩ সালে উইগ্রো ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস’-এ বেষ্ট স্টার্টআপ ইনোভেশন ও কৃষি খাতে বেস্ট ইনোভেশন পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুর ফিনটেক ফেস্টিভ্যালে উইনার হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ক ষকদ র সহ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি