ছুরি হাতে প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকি, গ্রেপ্তার ১
Published: 28th, June 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মো. আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ফটিকছড়ি পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তি রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী।
এর আগে, শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আলমগীর রক্তমাখা ছুরি হাতে প্রধান উপদেষ্টা ড.
ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ভিডিওটি নজরে আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আমরা রিমান্ড চেয়ে আবেদন করব।”
“আটক ব্যক্তি নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় রক্তমাখা ছুরি হাতে নিয়ে ভিডিওটি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে বলে স্বীকার করেছেন”, যোগ করেন তিনি।
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক
ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।
জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।