সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মো. আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ফটিকছড়ি পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তি রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী।

এর আগে, শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আলমগীর রক্তমাখা ছুরি হাতে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি এবং সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গালাগাল করছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ভিডিওটি নজরে আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আমরা রিমান্ড চেয়ে আবেদন করব।”

“আটক ব্যক্তি নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় রক্তমাখা ছুরি হাতে নিয়ে ভিডিওটি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে বলে স্বীকার করেছেন”, যোগ করেন তিনি। 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজবাড়ীতে মির্জা ফখরুলের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান, বিএনপি নেতাকে নোটিশ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকমল হোসেন চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলীর স্বাক্ষরে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোটিশে বলা হয়, গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়-আহ্লাদিপুর রাজবাড়ী-ফরিদপুর সড়কে রাজবাড়ী-১ আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে পৌর বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী মিছিল শুরু করেন। সেখানে আকমল হোসেন চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে ‘অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ স্লোগান’ দেন। এই স্লোগানের ভিডিও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে এবং জেলা বিএনপির নজরে আসে।

নোটিশে আরও বলা হয়, পৌর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা হয়েও তিনি দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন এবং গুরুতরভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজবাড়ীতে মির্জা ফখরুলের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান, বিএনপি নেতাকে নোটিশ
  • বিএনপি দায়িত্বে এলে ‘ভারতের দাদাগিরি’ বন্ধে বেশি গুরুত্ব দেবে: মির্জা ফখরুল
  • পানির ন্যায্য হিস্যা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে জোর দেবে বিএনপি