মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “কীটনাশকের প্রচারণা দেখে এটি ভালো কিছু মনে হলেও, আসলে তা বিষ। এটিকে কিভাবে আমরা খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করি। এই বিষাক্ত কীটনাশক বন্ধ করতে হলে প্রয়োজনে রাস্তায় নামব।” 

শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইলে নিরাপদ খাদ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকায় বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ পৃথিবী ও নয়াকৃষি আন্দোলনের উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

ফরিদা আখতার বলেন, “বিষ দিয়ে মাছও ধরা হচ্ছে। গরু-ছাগল ঘাস খেতে পারছে না। আগাছা নাশক ছিটিয়ে ঘাস মেরে ফেলে তা বিষাক্ত করা হচ্ছে। এ বিষাক্ত পরিবেশ থেকে আমাদের বের হতে হবে।”

আরো পড়ুন:

ছুরি হাতে প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকি, গ্রেপ্তার ১

সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সুন্দর ও উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অনেক সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী দেশ। আমরা চাইলে এ দেশকে আরো সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।”

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড.

আবু নইম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, বুরো ময়মনসিংহ বিভাগের ব্যবস্থাপক ইশতিয়াক আহমেদ, আসপাডা পরিবেশ আন্দোলনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশিদ, উবিনিগের পরিচালক সীমা দাস সীমু, সবুজ পৃথিবীর সাধারণ সম্পাদক শহিদ মাহমুদ, কৃষক ছানোয়ার হোসেন। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ পৃথিবী এবং নয়াকৃষি আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনের জামিন

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৩৪ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। জুয়া প্রতিরোধ-বিষয়ক আইনটি আরো কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এর আগে, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত শতাব্দী ক্লাব থেকে জুয়া খেলার সময় গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪১০ টাকা, জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও দুইটি খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি নেতাসহ আটক ৩৫

জনগণ প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তন চাইছে: তারেক রহমান

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, কালিবাড়ি এলাকার বিধুণ ভূষণের ছেলে রক্ষিত বিশ্বজিৎ, সবুর খান বীর বিক্রমের ছেলে মো. শাহ আলম খান মিঠু, দিঘুলিয়ার জসিম উদ্দিন, বাঘিলের গোলাম মাওলা, থানাপাড়ার শাহিন আহমেদ, আবু জাফর খান, বিশ্বাস বেতকার মো. আব্দুর রশিদ, আকুর টাকুর পাড়ার মঈন খান, করটিয়ার ইসমাইলের ছেলে মোস্তফা কামাল।

এছাড়া আরো আছেন, সাবালিয়া এলাকার বিশ্বনাথ ঘোষ, একে এম মাসুদ, বেতকার শিপন, মহব্বত আলী, বিশ্বাস বেতকার আশিকুর রহমান, রফিক, আখতারুজ্জামান, বেপারী পাড়ার এস এম ফরিদ আমিন, কবির হোসেন, আদালত পাড়ার মোশারফ উদ্দিন, রফিকুল, বিশ্বজিৎ, হাসান আলী, ঘারিন্দা এলাকার হাবিল উদ্দিন, আকুর টাকুর পাড়ার জাহিদ, থানা পাড়ার প্রিন্স খান, সৈয়দ শামসুদ্দোহা, পাড় দিঘলিয়ার সাদেকুর, কাজিপুরের সেলিম, আদালত পাড়ার শাহ আলম, সিরাজুল, আদি টাঙ্গাইলের শফিক, আশেকপুর এলাকার আরমান ও ছয়আনি পুকুর পাড় এলাকার শামসুল হক।

গালা গ্রামের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এই জুয়া খেলে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। তারপরও দেশ থেকে জুয়া বন্ধ হচ্ছে না। জুয়ার আইনটি আরো কঠোর করার দাবি জানাচ্ছি।”

শহরের সন্তোষের আবু হানিফ বলেন, “এই জুয়া মামলায়ই মনে হয় আদালতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামীরা জামিন পেয়ে যায়। অথচ এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। অপরাধ কমাতে ও অনেক পরিবার রক্ষায় আইনের বিষয়টি সরকারকে ভেবে দেখা উচিৎ।”

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে সেনাবাহিনী শতাব্দী ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।”

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, “দুপুর পৌনে ১টার দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।”

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ