মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গবাদিপশু যাতে রোগে আক্রান্ত না হয়, এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। শুধু মাংস উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য নয়, পশুর স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। তাই গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।’’   

শ‌নিবার (২৮ জুন) মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচিত চারটি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন যেন নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খামারিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আপনাদের সমসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।’’  

এলএসডির জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত গরু কোরবানির হাটে এসেছে বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের গরু হাটে আসেনি।’’  

দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গরুর দুধের সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই চিলিং সেন্টার স্থাপন করা জরুরি। যে অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে গুড়া দুধ আমদানি করা হয়, তা দেশের চিলিং সেন্টার স্থাপনে ব্যয় করলে খামারিরা উপকৃত হতেন। তিনি আরও বলেন, গুড়া দুধ আমদানি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।’’ 

এ খাতে সরকার ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো.

তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘‘দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে খামারিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের সফলতা খামারিদের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।’’  

তিনি আরও বলেন, ‘‘খামারিদের উৎপাদনই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে।’’ 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন ও অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান। 

পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. অমর জ্যোতি চাকমা। 

স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। 

সুফল ভোগীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন সেবিকা মন্ডল ও আতাউর রহমান। 

এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গবাদিপশু খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্পভুক্ত নির্বাচিত চারটি জেলায় (মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ভোলা) এইদিন সকালে টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প বক ত ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ