গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনে গুরুত্ব
Published: 29th, June 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গবাদিপশু যাতে রোগে আক্রান্ত না হয়, এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। শুধু মাংস উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য নয়, পশুর স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। তাই গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।’’
শনিবার (২৮ জুন) মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচিত চারটি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন যেন নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খামারিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আপনাদের সমসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।’’
এলএসডির জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত গরু কোরবানির হাটে এসেছে বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের গরু হাটে আসেনি।’’
দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গরুর দুধের সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই চিলিং সেন্টার স্থাপন করা জরুরি। যে অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে গুড়া দুধ আমদানি করা হয়, তা দেশের চিলিং সেন্টার স্থাপনে ব্যয় করলে খামারিরা উপকৃত হতেন। তিনি আরও বলেন, গুড়া দুধ আমদানি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।’’
এ খাতে সরকার ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো.
তিনি আরও বলেন, ‘‘খামারিদের উৎপাদনই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে।’’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন ও অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান।
পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. অমর জ্যোতি চাকমা।
স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান।
সুফল ভোগীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন সেবিকা মন্ডল ও আতাউর রহমান।
এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গবাদিপশু খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্পভুক্ত নির্বাচিত চারটি জেলায় (মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ভোলা) এইদিন সকালে টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প বক ত ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৯ দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় প্যারিস রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
এ সময় তারা ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘এক দুই তিন চার হল আমার অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘গড়িমাসি চলবে না, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
রবিবার পরীক্ষায় অংশ নেবেন সেই আনিসা
চবিতে শিবিরের কোরআন অলিম্পিয়াড ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই নয় দফা দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে এবার তারা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তাদের দাবিগুলো হলো, পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণা; পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ; ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা; মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ মেডিকেলে উন্নীতকরণ; প্রশাসনিক সব কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা; হল ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি; কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার; পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি কার্যকর করা এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল দ্রুত ঘোষণা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “এই নয় দফা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও সময়োপযোগী দাবি। এগুলো বাস্তবায়ন করতে শুধু সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক উদ্যোগই যথেষ্ট। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্ক করছি, দ্রুত দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি আসবে।
শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী