চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে আরো আলোকিত করতে স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। 

মহানগরীর ৩১ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি বসানো হবে, জানিয়ে চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এর মাধ্যমে নগরবাসীর নিরাপদ ও স্বস্তিকর চলাচল নিশ্চিত হবে। 

রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শোলকবহর ওয়ার্ডের আবদুল হামিদ সড়কে খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন চসিকের মেয়র। 

মেয়র বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘বিদ্যুৎ বাতি উন্নয়ন কার্যক্রম (অঞ্চল-১, ধাপ-১)’ এবং ‘বিদ্যুৎ বাতি উন্নয়ন কার্যক্রম (অঞ্চল-৫, ধাপ-১)’ শীর্ষক দুটি উপ-প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরের ১০টি ওয়ার্ডে মোট ৩১.

৬৩ কিলোমিটার সড়কে ১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ২৬৫টি স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। এ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আলোকায়ন ব্যবস্থাকে স্মার্ট নগরীতে রূপান্তরের প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা দেখছি। এটি শুধু নিরাপত্তাই নয়, সৌন্দর্যও বাড়াবে। এই স্মার্ট এলইডি বাতিগুলো ক্লাউড সার্ভারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত ও তত্ত্বাবধান করা যাবে। এর ফলে আলো চালু বা বন্ধ, যন্ত্রের ত্রুটি শনাক্ত এবং রক্ষণাবেক্ষণ আরো সহজ হবে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম র ট এলইড নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ