গত কয়েক বছর ধরে সিলেটের সবগুলো পাথর কোয়ারির ইজারা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে পাথর ভাঙার কলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ অবস্থায় পাথর কোয়ারির ইজারা বাতিল এবং অপরদিকে খুলে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার পাথর ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। ফলে এ নিয়ে মুখোমুখি ব্যবসায়ী ও প্রশাসন।
সোমবার সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কর্মবিরতি গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সদর উপজেলার ধোপাগোল শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি হয়। এ সময় বক্তারা, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানি ও সব ক্রাশার মালিকদের ব্যবসার সুযোগ এবং বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
সিলেট সদর পাথর ক্রাশার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মন্তাজ আলীর সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা আব্দুল হকের পরিচালনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ মালিক গ্রুপের সহসভাপতি, মুজিবুর রহমান মুজিব, সহসভাপতি নারায়ন পুরকায়স্থ ফনি, সিলেট সদর পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মুহিবুর রহমান সুলেমান, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য মামুন আল রশিদ হেলাল, সিলেট সদর পাথর ক্রাশার ও বালু ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহসভাপতি শানুর মিয়া প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসন প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছে ক্রাশার মিল বন্ধে। নিয়ম ভেঙে সিলেটের পাঁচ উপজেলায় দেড় হাজারেরও বেশি পাথর ভাঙার কল গড়েছেন মালিকরা। এসব কলের অধিকাংশই নীতিমালা অগ্রাহ্য করে স্থাপন করা হয়েছে। এসব কলের কোনোটি বাজারে, কোনোটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। বিগত কয়েক বছর ধরে এসব বন্ধে এলাকার লোকজন বিভিন্নভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গত ১৪ জুন জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে অবরোধ করা হয়। এ সময় তারা জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবি তোলেন। প্রাথমিকভাবে তাদের সাধারণ শ্রমিক দাবি করা হলেও পরে জানা যায়, তারা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ল ট সদর ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।

সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’

নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
  • ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে অভিজ্ঞ সংস্থা ‘হোপ’ নির্বাচন পর্যবেক্ষকের তালিকায়
  • এসিসির সভায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, নাকভি কথা না শুনলে আইসিসিতে অভিযোগ করবে ভারত