সিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহনে আন্দোলনকারীদের হামলা, আটক ২
Published: 1st, July 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পর্যটকবাহী অন্তত পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইজারা বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আন্দোলনরত কিছু ব্যক্তি এই ভাঙচুর করেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে সিলেট–কোম্পানীগঞ্জ–ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের থানাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিলেটের পাথর কোয়ারি ইজারা দিয়ে আবার চালু করা ও ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়াসহ কিছু দাবিতে সিলেট জেলা পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে গত শনিবার থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোড–আনলোডে কর্মবিরতি পালিত হয়। একই দাবিতে গতকাল সোমবার সিলেটের সব পণ্য পরিবহনের মালিক–শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
আরও পড়ুনজাফলংয়ে আবার অভিযান, এবার পাথর ভাঙার ৭৭টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন২৫ জুন ২০২৫প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণ–অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে কর্মসূচিতে থাকা একদল ব্যক্তি সিলেট–কোম্পানীগঞ্জ–ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় সড়ক অবরোধকারী অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা, পাইপ ও বাঁশ দেখা গেছে। তাঁরা সড়কে অবস্থান নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কোয়ারি চালুর দাবি জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণ–অনশন কর্মসূচি থেকে এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন একদল তরুণ–যুবক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে মধ্যরাতে ডেকে বের করে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার জিগাতলা এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে দুবারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কুলিকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপি সদস্যের নাম আবদুর রহিম খন্দকার (৫০)। তিনি কুলকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং কুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
পরিবারের লোকজনের ভাষ্য, একদল দুর্বৃত্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রহিমকে ঘর থেকে বের করেন। এরপর বাড়ির উঠানে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউপি সদস্য পরিবারের সঙ্গে ঘরে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত বাড়ির উঠানে গিয়ে তাঁকে ডাকতে থাকেন। এ সময় তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। পরে তিনি ঘর থেকে বের হন। সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা চলে যান। আজ রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কুলকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, আবদুর রহিম দুবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা কেন নির্মমভাবে তাঁকে হত্যা করেছে, বিষয়টি এলাকার কেউ বলতে পারছেন না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড এবং এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন আছে।