ইতালিতে বাইরে কাজ নিষিদ্ধ, ফ্রান্সে স্কুল বন্ধ
Published: 1st, July 2025 GMT
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ। ইতালি কিছু অঞ্চলে উষ্ণতম সময়ে বাইরের কাজ নিষিদ্ধ করেছে, ফ্রান্স স্কুল এবং আইফেল টাওয়ারের কিছু অংশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং স্পেন জুনকে উষ্ণতম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সোমবার ইতালীয় শহর বোলোনা-এর কাছে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলো তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছে। বার্সেলোনায় কর্তৃপক্ষ সপ্তাহান্তে একজন সড়ক ঝাড়ুদারের মৃত্যুও তাপ-সম্পর্কিত কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
তুরস্ক দাবানলের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার ইজমির শহর, মানিসা প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্বে হাতায়ের আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস জলবায়ু পরিবর্তন পরিষেবা অনুসারে, ইউরোপ বিশ্বের দ্রুততম উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী মহাদেশ, যা বিশ্বব্যাপী গড়ের দ্বিগুণ হারে উত্তপ্ত হচ্ছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিস বলেন,“যেটা ব্যতিক্রমী .
ভূমধ্যসাগরের উচ্চ তাপমাত্রা স্থলভাগে চরম তাপমাত্রাকে আরো বাড়িয়ে তোলে বলে জানান তিনি।
ভূমধ্যসাগরীয় স্পেনে তাপমাত্রা রেকর্ড ৩০ সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা মৌসুমী গড়ের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী মেটিও ফ্রান্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফ্রান্সে তাপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সারা দেশের প্রায় ১ হাজার ৯০০ স্কুল বন্ধ ছিল।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে