ভালো সাংবাদিকতা করলে ছাপা পত্রিকারও সম্ভাবনা আছে
Published: 1st, July 2025 GMT
পাঠকের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে, ভালো মানের সাংবাদিকতা উপহার দিলে ছাপা পত্রিকাও সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। অনেকে বলেন, ছাপা পত্রিকার দিন শেষ। আমি মনে করি, মানসম্পন্ন কনটেন্টই যে কোনো মাধ্যমের টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান মঙ্গলবার তাঁকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টাইমস মিডিয়া ভবনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সাহসী সাংবাদিকতা, তরুণ পাঠকদের যুক্ত করা এবং পরে নানামুখী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা পত্রিকা হিসেবে ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পায় প্রথম আলো। এটি গণমাধ্যমের জন্য সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তা উদযাপন করতে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। নোয়াব সদস্যরা প্রথম আলো সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াবের সভাপতি এ.
অনুষ্ঠানে মতিউর রহমানের সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে আলোকপাত করেন এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, মতিউর রহমান গণতন্ত্রকে সুসংহত করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন সম্পাদকীয় নীতি অনুসরণ করছেন।
এ. কে. আজাদ বলেন, এসিড সহিংসতার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরিতে নিরলস লড়াইয়ের জন্য তিনি র্যা মন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছেন মতিউর রহমান। তিনি সাহস, সততা ও পেশাদারিত্বের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা দেশের সংবাদপত্র শিল্পের জন্য গর্বের।
সংবর্ধিত অতিথি মতিউর রহমান বলেন, সাংবাদিকতা জীবনের ৫০ বছর পার করে ফেলেছি। যা কিছু করেছি ভালো ভেবে, ভালোর জন্য করেছি। ভুলও আছে অনেক। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। সে সময়ে এমন একটা পুরস্কার পাওয়া সংবাদপত্রের শক্তিকেই তুলে ধরে।
মতিউর রহমান বলেন, গত জুলাই-আগস্টে অনলাইনে প্রথম আলোর পাঠক হয়েছিল ৩১ কোটি। পত্রিকার প্রচার সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। এটি প্রমাণ করে, প্রিন্ট পত্রিকার চ্যালেঞ্জের যুগেও ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করতে পারলে পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ানো যায়।
নোয়াবের সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান বাদল বলেন, মতিউর রহমান রাজনীতি করেছেন, সমাজ বদলের চেষ্টা করেছেন, লিখেছেন। তিনি আসলে আমাদের মাথার ওপর বটগাছের মতো। নিজের পথচলাতেই আমাদের জন্য দিশা তৈরি করেছেন তিনি।
যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, মতিউর রহমান যা করে দেখিয়েছেন, তা এককথায় অসাধারণ ও অনুকরণীয়। সাহস, দূরদৃষ্টি ও দায়িত্ববোধ নিয়ে তিনি শুধু প্রথম আলো নয়, পুরো সাংবাদিকতাকেই এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শামসুল হক জাহিদ, দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, জাফর সোহবান ও শাহেদ মুহাম্মদ আলী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব দ কত প রথম আল অন ষ ঠ ন কর ছ ন স বর ধ র জন য ব দ কত
এছাড়াও পড়ুন:
২৩ মাস পর দলে ফিরলেন মুকুল শকু মুরাদ
দীর্ঘ ২৩ মাস পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য শওকত হাসেম শকু এবং বন্দরের ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সদস্য মো. গোলাম নবী মুরাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে দল।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।r
রিজভী জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক মো. আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য শওকত হাসেম শকু, নাসিকের ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মো. গোলাম নবী মুরাদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠলে আতাউর রহমান মুকুল, শওকত হাসেম শকু ও মো. গোলাম নবী মুরাদকে বহিষ্কার করে বিএনপি।