সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন ফরিদা পারভীন
Published: 22nd, July 2025 GMT
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন বাংলাদেশের লোকসংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি, বরেণ্য লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী।
দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিসজনিত জটিলতায় ভুগছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ফরিদা পারভীন। সম্প্রতি ডায়ালাইসিসের সময় শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে গত ৫ জুলাই তাকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুরুতেই তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে একাধিক মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলে।
ইমাম জাফর নোমানী বলেন, “মাকে সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বাসায় নিয়ে এসেছি। তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। এখন নিজে খেতে পারছেন। তবে হাঁটাচলা এখনো শুরু করেননি। ফিজিওথেরাপি দিতে হবে, এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন।”
আরো পড়ুন:
‘এই অনিশ্চিত জীবন নিয়ে আমরা কত অহংকার করি’
সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল
গত ৭ জুলাই রাত থেকে হঠাৎ করে ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানায়।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০০৮ সালে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই শিল্পী।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি