জুলাই শহীদ ও মাইলস্টোনে নিহতদের স্মরণে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
Published: 24th, July 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় এবং উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল করেছে ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আছর এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
হযরত মুহাম্মদ (সা.
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালার উদ্বোধন
ঢাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে স্মরণ সভা
এ সময় ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “আমরা মসজিদকে একটি পবিত্র স্থান মনে করি। কিন্তু একটি গোষ্ঠী রয়েছে যারা মসজিদকে অপরাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ফজরের পর তারা মসজিদে মিটিং করে, আবার কিভাবে গালিগালাজ করতে হবে, তা দেখাচ্ছে। যারা ইসলামের ধারক-বাহক আছে, আমরা তাদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কেউ যেন মসজিদকে অপরাজনীতির কেন্দ্র বানাতে না পারে, সে ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া হোক।”
তিনি জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের শহীদদের ছাত্রদল স্মরণে রাখবে উল্লেখ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। একইসঙ্গে মাইলস্টোনে নিহত শিশুদের জন্য দোয়া কামনা করেন।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচির একটি ছিল, জুলাই-আগস্টের শহীদদের নিয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা। কিন্তু এরই মধ্যে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩২ জন শহিদ হয়েছেন। আমরা তাদের জন্যও দোয়া করছি। আমরা শহীদদের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা-সহমর্মিতা জানাচ্ছি।”
জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলাকারীদের বিচার শুরু হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যারা শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল, তাদের বিচার এখনো ঢাবি প্রশাসন পারতে পারেনি। ঢাবির যেসব শিক্ষকরা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান করেছিল, সেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো করতে পারেনি এ প্রশাসন। এমনকি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে ছিল, তাদের ব্যাপারেও কোনো বিচারের অগ্রগতি দেখিনি।”
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাবি শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল জ ল ই আগস ট ম ইলস ট ন ছ ত রদল র মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।