বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে আগে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়, তারা সেটাই করেছিল।”

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় বেগম আয়েশা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অধ্যাপক ডা.

রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, “তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তোমরা বড় অফিসার হবে, দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে। কোনভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়াবে না। যারা ঘুষ নেয়, দুর্নীতি করে—তাদের মতো হওয়া যাবে না। সন্ত্রাস ও মাদকের পথ বর্জন করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

‘স্বচ্ছ ও দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো না গড়লে উন্নয়ন থাকবে কাগজে-কলমেই’

কিছু দল পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে শপথ করেছে: ফখরুল

অনুষ্ঠানে ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত ও আহতদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. জিয়াউল করিম মোড়ল রিফাতের সভাপতিত্বে ও শ্রীপুর পৌর ছাত্রদল নেতা এসএম আব্দুল্লাহ আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- শ্রীপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বেপারী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোসলেহ উদ্দিন মৃধা, মুক্তারুল করিম মোড়ল, অ্যাডভোকেট আবু জাফর সরকার, অ্যাডভোকেট আহসান কবির, অ্যাডভোকেট রাজিবুল আলম বেপারী এবং শ্রীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আকন্দ।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ধ ব স কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসীসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১৭ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের (প্রথম) ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতে রায় ঘোষণার সময় ৩১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। মামুনুর রশীদ নামের এক আসামি পলাতক। তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল আলম, সিরাজ উদ্দিন, জামাল মিয়া, শাহিন উদ্দিন, আবদুল জলিল ও আনোয়ার হোসাইন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইলিয়াছ আলী, আবদুন নুর, জয়নাল আবেদীন, আশিক উদ্দিন, আশকির আলী, অলিদ মিয়া ওরফে ফরিদ মিয়া ও আকবর মিয়া। তাঁদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে লুৎফুর রহমান, ময়ূর মিয়া, মামুনুর রশিদ, কাউসার রশিদ, দিলাফর আলী, পারভেজ মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, আজাদ মিয়া, মুক্তার আলী, আবদুর রকিব, আঙ্গুর আলী, জাবেদ ইসলাম, শফিক উদ্দিন, মখলিস মিয়া, ফিরোজ আলী ও ফখর উদ্দিনকে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়,  ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে যান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলমসহ তাঁর লোকজন। এতে বাধা দেন নজির উদ্দিন, তাঁর চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়া। এ সময় বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলমের বন্দুক দিয়ে গুলি করলে শাহজালাল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল মিয়া নিহত হয়। এ ঘটনায় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন আহত হন।

ওই ঘটনায় নিহত সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ