Samakal:
2025-07-10@08:38:19 GMT

এক কলেজে তিন অধ্যক্ষ

Published: 10th, July 2025 GMT

এক কলেজে তিন অধ্যক্ষ

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের চেয়ার একটি। কিন্তু সেখানে অধ্যক্ষ তিনজন। একজন মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত। অপর দু’জন ভারপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একজন উচ্চ আদালত থেকে স্বপদে পুনর্বহাল হওয়ার রায় পেয়েছেন। এভাবে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসা নিয়ে টানাহেঁচড়া চলছে তিনজনের মধ্যে।

২০২১ সালের ৮ আগস্ট শিমুলবাড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ হয়। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-২-এর আদেশে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান অধ্যাপক এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর পদায়নের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। এর পর তিন মাসের জন্য উচ্চ আদালত থেকে স্বপদে পুনর্বহাল হওয়ার রায় পেয়েছেন তিনি। সিদ্দিকুর রহমান আদালতের আদেশ অমান্য করে কলেজের সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার রায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। কিন্তু নিয়মিত কলেজে আসছেন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন সিদ্দিকুর রহমান। বর্তমানে ওই তিন অধ্যক্ষই কর্মরত আছেন কলেজটিতে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান। তাঁর অভিযোগ, কলেজটি জাতীয়করণের পর থেকে তিনি বিধি অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পদায়ন যৌক্তিক। এর পরও বিধি ভঙ্গ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা দোসররা চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ১৩৫ কলেজের সঙ্গে শিমুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজে ক্যাডারভুক্ত এ কে এম সিদ্দিকুর রহমানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে গত ২৭ মে আদালতে রিট পিটিশন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১ জুন অধ্যক্ষ পদায়ন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং তাঁকে অধ্যক্ষ পদোন্নতি দিয়ে রায় দেন। ওই আদেশের পর এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার রায়কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকারী অশোক কুমার রায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকার কল দেওয়া হয়। তিনি সাড়া দেননি।

অধ্যক্ষ এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাঁর পদায়নের আদেশটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। এ অবস্থায় কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহকারী অধ্যাপক অশোক কুমার রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে অশোক কুমার রায়কে দায়িত্ব দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপাধ্যক্ষ আবদুল হান্নান অনুপস্থিত থাকায় অশোক কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এম স দ দ ক র রহম ন র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মামলার পর মুখ খুললেন ডিপজল

চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলসহ দুজনের বিরুদ্ধে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালতে রাশিদা আক্তার (৩৫) বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদনে দাখিলের নির্দেশ দেন। 

এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে নিয়ে আলোচনা চলছে। এবার বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ডিপজল। একাধিক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এই অভিনেতা। 

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: প্রেস সচিব 

কেরাণীগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে কুয়েত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার

ডিপজল বলেন, “একজন পাগল ভক্তের কর্মকাণ্ড পুঁজি করে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন! আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন।” 

অসহায়ত্বের কথা বলে বিভিন্ন সময় ডিপজলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই নারী। তা উল্লেখ করে ডিপজল বলেন, “এই মহিলার দুটি বাচ্চা নিয়ে এফডিসি থেকে তার স্বামী নেই বলে অসহায়তার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে মাঝে মাঝে এসে কান্নাকাটি করে ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। অনেকবারই এফডিসিতে দেখা হয়েছে, যার ভিডিওগুলো আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবেন।” 

ওই নারীর বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে ডিপজল বলেন, “ওই মহিলার বক্তব্য মতে, ২০২৫ সালের জুনের ২ তারিখে হাটে দেখা হয়েছে বলে সাক্ষাৎকারে বলেছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা—ভিডিওটি দেখলে বোঝা যাবে। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশনকে হাটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার সব কাগজপত্র প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে। হাট বুঝিয়ে দেওয়ার ২ মাস পর আবার কেন হাটে যাব? ২ জুন মহিলাটি হাটে এসে কী করেছিল, সেটির ভিডিও ফুটেজও রয়েছে, যা আপনারা দেখতে পাবেন। হাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পাওয়া যাবে।” 

সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ডিপজল বলেন, “এখন মহামান্য আদালতকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিচার করবেন। যারা এই মহিলাকে ব্যবহার করে এসব কাজ করছে, তাদেরও প্রকাশ্যে আনবেন। এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” 

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২ জুন রাজধানীর কোরবানির গরুর হাটে অভিনেতা ডিপজলের আগমনের কথা শুনে তার ভক্ত হিসেবে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তখন ডিপজল তার পিএসকে বলে, “এই মহিলা এখানে কীভাবে ঢুকল, বের কর এখান থেকে।”  

পরে ডিপজলের পিএসসহ সেখানে থাকা ৮ থেকে ১০ জন শারীরিকভাবে হেনস্তা, মারধর করে রশি দিয়ে টেনে বের করে দিতে চায়। ভুক্তভোগী আহত অবস্থায় বলেন, “আমাকে ছাড়, আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে বিচার দেব।’ তখন পিএস বলে, ‘ভেতরে গেলে ডিপজল ভাই তোকে খুন করে ফেলবে। ওকে এভাবে মারলে মনের জিদ কমবে না।” 

এজাহারে বাদী আরো বলেন, পিএসের নির্দেশে একজন ভেতর থেকে একটা ছোট গ্যালন নিয়ে আসে। পরে সে গ্যালনটি বাদীর ঘাড়ের দিকে ঢেলে দেয়। বাদী যন্ত্রণায় কান্না করতে করতে বাসায় যান। পরে ৪ থেকে ১১ জুন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন। ১২ জুন মামলা করতে গেলে ডিপজলের পিএস কল দিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন বলেও উল্লেখ করেন।  

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রলের মুখে প্রসেনজিতের দুঃখ প্রকাশ
  • ফিরছে সুপারম্যান: ভিন্ন এক রূপে
  • এক কলেজে ৩ অধ্যক্ষ
  • ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা
  • যে বন্ধন জুলাইয়ের...
  • একজন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তকে রক্ষা করতে পারবে না ভারত: শফিকুল আলম
  • ডিপজলের নামে মামলা: মুক্তি ও সনির ফেসবুক পোস্ট
  • নারী ভক্তের মামলার পর ডিপজল বললেন, আল্লাহ বিচার করবেন
  • মামলার পর মুখ খুললেন ডিপজল