ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার হয়ে ‘শেষ’ ম্যাচটা খেলতে পারবেন তো মেসি
Published: 5th, August 2025 GMT
লিগস কাপে গত পরশু নেকাক্সার বিপক্ষে চোটে পড়েন লিওনেল মেসি। বাধ্য হয়েই ১২ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। তখনই প্রশ্নটি উঠেছে, কত দিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে ইন্টার মায়ামি তারকাকে?
বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম তখন জানিয়েছিল, মেসিকে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। এমনও হতে পারে, লিগস কাপের বাকি সময়ে মেসিকে না–ও পাওয়া যেতে পারে। তবে ইন্টার মায়ামি পরশু সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডান পায়ের মাংসপেশিতে ছোটখাটো চোট পেয়েছেন মেসি। এটুকু পড়ে মেসির ভক্তরা প্রশান্তি পেলেও দুশ্চিন্তায় পড়তে পারেন অন্য কারণে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি চোট থেকে কবে সেরে উঠতে পারেন, কবে মাঠে ফিরতে পারেন—সে বিষয়ে মায়ামি কিছুই জানায়নি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুধু এতটুকু বলা হয়েছে, মেসির ‘মেডিকেল ছাড়পত্র নির্ভর করছে চিকিৎসাগত দিক থেকে তার উন্নতি এবং (চিকিৎসায়) তার সাড়া দেওয়ার ওপর।’
অর্থাৎ, মেসির চোট গুরুতর কিছু নয়। কিন্তু কবে সেরে উঠবেন, তা এখনো মায়ামি নিশ্চিত করে বলতে না পারায় আরও একটি দুশ্চিন্তার জায়গা আছে। সেপ্টেম্বরে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে আর্জেন্টিনার। প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা। অর্থাৎ, আজ থেকে ঠিক এক মাস পরই জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে হবে মেসিকে। সে ম্যাচের মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
নেকাক্সার বিপক্ষে চোটে পড়েন লিওনেল মেসি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপরে, খোলা হলো বাঁধের ১৬টি গেট
রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট (জলকপাট) গতকাল সোমবার রাত ১২টা ২ মিনিটে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব গেট খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৬টি গেটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হ্রদে পানির চাপ বাড়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কাপ্তাই বাঁধের সব কটি গেট খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতেই গেট খুলে দেওয়া হয়।
পানি ছাড়ার আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি ছিল ১০৮ দশমিক ৫ ফুট। ১০৮ ফুট উচ্চতা কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট পর্যন্ত।
এদিকে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল থাকায় এর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।