জুলাই শহীদদের স্মরণে প্রতিবেশ আন্দোলনের বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ
Published: 5th, August 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুথ্যানের ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেশ আন্দোলন বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরন করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) শহরের হাজীগঞ্জে দেশের প্রথম জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
বৃক্ষ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক রাইসুল রাব্বী, সদস্য সচিব সাদিক হাসান, সদস্য আওলাদ হোসেন, তাইদ নূর, রফিকুল বাপ্পী ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।এ সময় তাদের সাথে অংশগ্রহন করেন মহানগর গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ বিপ্লব খান, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাশ ও মহানগর গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় রাইসুল রাব্বী বলেন, আমরা একটি প্রাকৃতিক ভারসম্যপূর্ণ সমাজ চাই। জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা ছিলো বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসম্য বজায় থাকবে।
পৃথিবী শুধু মানুষের নয় বরং এটি সকল প্রাণের আধার। সকল প্রাণের হক আদায় করা আমাদের কর্তব্য।সবুজায়নের অংশ হিসেবে আজকে আমাদের এই আয়োজন। আমরা আশা করবো, রাষ্ট্রের যারা দায়িত্বে আছেন তারা পরিবেশ বিষয়ে উদাসীন না হয়ে মনযোগী হবেন।
সদস্য সচিব সাদিক হাসান বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য পৃথিবী চাই। বর্তমানে আমাদের দেশে বনায়নের পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম যা দেশকে মরুকরনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের আবহাওয়া বিপন্নের দিকে যাচ্ছে। সরকারের উচিত পরিবেশ প্রকৃতিকে গুরুত্ব দেয়া।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম ‘গণ-অভ্যুত্থানের শত্রু’ : এনসিপি নেতা আল আমিন
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ও উত্তরণের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীক সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে গণ-অভ্যুত্থানের শত্রু আখ্যা দিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল আমিন। এ সময় তিনি হাতেমকে এ আয়োজনে স্পেস দেয়া উচিৎ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সভায় আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আজ আসার পর দেখলাম একজন স্টেজে এসে ছাত্ররা কীভাবে পড়ালেখা করবে, রেজাল্ট ভালো করবে, ওই পরামর্শ দিচ্ছেন; যে ব্যক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে কীভাবে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে হবে, সেই অনুরোধ করেছিলেন।’
আব্দুল্লাহ আল আমিন আরও বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে সে ছাত্রদের দমনের ব্যাপারে বলেছে। তাকে আমরা এই স্পেস দিতে পারি না। খুবই দুঃখ লেগেছে, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমরা এগুলো জানি। জানার পরও কেন আমরা এটা করি? আমরা কি সব ভুলে গেলাম। এই ভুলে যাওয়া আমাদের উচিত হয়নি।
এর আগে এই এনপিসি নেতা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নানান ধরনের জটিলতা হয়েছে মানে ম্যানেজিং কমিটি এড কমিটি কোথাও কমিটি নাই কোথাও অধ্যক্ষ বা শিক্ষক আছে নাই বা নানান ধরনের ইস্যু সৃষ্টি হয়েছে।
এইজন্য এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল যেই ধরনের চেইন অফ কমান্ডে স্কুল কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে ওভাবে চলতে পারেনি। ছাত্রদের মধ্যেও গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক একটা ট্রমা আছে। আমরা যখন শহীদ পরিবার বা আহতদের সাথে কাজ করি, আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক ধরনের ট্রমা আছে।
তাদের যে আবার পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে হবে। সে মানসিকতা সবার হয়ে ওঠে নাই। আমরা যেই প্রফেশনে ছিলাম অভুত্থানের পরে আবার যে আমাদের কাজটা আমরা করব এই মানসিকতাটা হয় নাই। তো আমাদের পুরা ন্যাশনাল একটা গ্রুমিং এর প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে আমরা দেখছিলাম যে, একিলিস হিল বলতে একটা ব্যাপার আছে। একিলিসের মতো এত বছরে হাসিনা প্রশ্নফাস, জালিয়াতি অটোপাসের মতো নানা ধরনের বড় বড় লুপস তারা রেখে দিছে। কিন্তু তারা উপস্থাপন করছে একটা বিশাল সাফল্য। এই দুর্বলতাটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি এটা সামনে আমাদের জেনারেশন, ছাত্র, দেশের জন্য ভালো হবে।”
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক রুমন রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ, বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শোয়াইব আহমাদ খান, নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আ.ফ.ম. মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সুজন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাইনুদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুদ বিল্লাহ প্রমুখ।