রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালং এলাকায় ভারী বৃষ্টির ফলে সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উভয় পাশে আটকা পড়েছেন সাজেকগামী ও সাজেকফেরত ৩ শতাধিক পর্যটক। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের মাচালং বাজার সেতুর পাশের সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সাজেকে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। সাজেকগামী প্রায় ২০০ পর্যটক দীঘিনালা পাড়ে আটকা পড়েছেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক পর্যটন রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল (সোমবার) খুব বেশি পর্যটক সাজেকে যাননি। যাদের জরুরি প্রয়োজন ছিল, তারা মাচালং বাজারে নৌকা দিয়ে পার হয়ে খাগড়াছড়িতে ফিরেছেন। আজ (মঙ্গলবার) কেউ সাজেকে প্রবেশ করেননি। যেসব পর্যটক সাজেকে ফেরত এসেছেন, তাদেরকে সর্বনিম্ন মূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। 

সুপর্ন দেব বর্মন আশা প্রকাশ করেছেন, বৃষ্টি না হলে সড়কের পানি হয়ত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেমে যাবে। 

খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির অফিসের লাইনম্যান সৈকত জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাজেকের দুই পাড়ে বেশকিছু গাড়ি মাচালং থেকে ফেরত আসেন। ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।

ঢাকা/শংকর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর যটক

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ট্রেনে পাথর ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল, ঘটনা বিশ্লেষণ করছে কর্তৃপক্ষ

রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার জন্য সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রেনের সামনে গিয়ে পাথর ছুড়ে মারেন এক তরুণ। এর আগে ওই তরুণ নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করে বক্তব্য দেন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আজ মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে ট্রেন পছন্দ হয়নি, ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বসে পড়লেন রেললাইনে৭ ঘণ্টা আগে

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁরা ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছেন। ভিডিওর ঘটনা সত্য হলে ওই তরুণের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুলাই যোদ্ধাদের আপত্তির মুখেও বিশেষ ট্রেনটি যেতে শুরু করলে সামনে পাথর হাতে দাঁড়িয়ে ওই তরুণ চালককে বার বার বলছেন, ‘ব্রেক ধরেন’। তারপরও ট্রেনটি এগিয়ে যেতে থাকলে হাতের পাথর ট্রেনের ওপর ছুড়ে মারেন ওই তরুণ।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাবরি চুল-দাড়িওয়ালা চশমা পরা ওই তরুণ পাথর নিক্ষেপের পর ট্রেনটি থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পর ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করলে ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণ চালককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই দাঁড়ান। দাঁড়ান, দাঁড়ান, দাঁড়ান’। পরে ট্রেনটি থেমে যায়। এ ঘটনার পর বিশেষ ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা ওই তরুণকে ঘিরে ধরেন। তাঁর সঙ্গে তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অন্যদের তোপের মুখে নিজের মতো মাথায় পতাকা বান্ধা আরেক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় ঠেলে বের হয়ে পাশের প্ল্যাটফর্মে গিয়ে সিল্কসিটি ট্রেনে উঠে বসেন ওই তরুণ।

ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়ে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় শাস্তির বিধান আছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথাও বলা আছে। পাথর নিক্ষেপের কারণে কোনো যাত্রী মারা গেলে ৩০২ ধারায় ফাঁসির বিধান আছে। আর পাথর নিক্ষেপকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁর অভিভাবকের শাস্তির বিধানও আছে।

সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় একজনকে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়তে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ