সাজেকের পথে পানি, আটকা পড়েছেন ৩ শতাধিক পর্যটক
Published: 5th, August 2025 GMT
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালং এলাকায় ভারী বৃষ্টির ফলে সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উভয় পাশে আটকা পড়েছেন সাজেকগামী ও সাজেকফেরত ৩ শতাধিক পর্যটক।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের মাচালং বাজার সেতুর পাশের সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সাজেকে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। সাজেকগামী প্রায় ২০০ পর্যটক দীঘিনালা পাড়ে আটকা পড়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক পর্যটন রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল (সোমবার) খুব বেশি পর্যটক সাজেকে যাননি। যাদের জরুরি প্রয়োজন ছিল, তারা মাচালং বাজারে নৌকা দিয়ে পার হয়ে খাগড়াছড়িতে ফিরেছেন। আজ (মঙ্গলবার) কেউ সাজেকে প্রবেশ করেননি। যেসব পর্যটক সাজেকে ফেরত এসেছেন, তাদেরকে সর্বনিম্ন মূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
সুপর্ন দেব বর্মন আশা প্রকাশ করেছেন, বৃষ্টি না হলে সড়কের পানি হয়ত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেমে যাবে।
খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির অফিসের লাইনম্যান সৈকত জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাজেকের দুই পাড়ে বেশকিছু গাড়ি মাচালং থেকে ফেরত আসেন। ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।
ঢাকা/শংকর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দূষণকারীদের নাম প্রকাশে আনুন, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “ডাইং কারখানা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আর ইটভাটা—এগুলোই এখন পরিবেশের সবচেয়ে বড় হুমকি। এই শিল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাজেট ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন, যারা দূষণ ঘটাচ্ছে তাদের নাম প্রকাশ্যে আনুন। তথ্য উন্মুক্ত হলে জনগণ নিজেরাই রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।”
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার
জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় দুই বছর কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরের ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষা প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষায় আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়, বরং এর সঙ্গে থাকতে হবে স্বচ্ছতা, বিকল্প ব্যবস্থা এবং জনগণের সম্পৃক্ততা। অনিয়মিত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
রিজওয়ানা হাসান সব লাল ক্যাটাগরির শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন (EIA) পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনগণের মতামত নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “দূষণকারী কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করা, অভিযোগ ট্র্যাক করার জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করা প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসম, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ, বেস্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত।
অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আগত পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। বিকেলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাতুরিয়া পদ্মবিল পরিদর্শন করেন। এ সময় কাপাসিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ