ডিজিএফআই কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে এসে যুবক আটক
Published: 5th, August 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে আসলে হাসান মাহমুদ নিশাত (৩৪) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নড়িয়া পৌরসভার মাজেদা হাসপাতালের সামনে নিশাতকে আটক করা হয়। নিশাত নড়িয়া পৌরসভার প্রেমতলা এলাকার সিরাজুল হক মল্লিকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসান মাহমুদ নিশাত নামের ওই যুবক ডিজিএফআই কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে দক্ষিণ নড়িয়া এলাকার ইব্রাহিম বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইব্রাহিম বেপারীর বিরুদ্ধে ডিজিএফআই সদর দপ্তরে ১৮টি অভিযোগ আছে বলে দাবি করেন তিনি। সেসব অভিযোগ প্রত্যাহারের কথা বলে ইব্রাহিমের কাছে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন নিশাত। কিছুদিন আগে ইব্রাহিমের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। বাকি ৫ লাখ টাকা নিতে মঙ্গলবার দুপুরে ইব্রাহিমকে মাজেদা হাসপাতালের সামনে ডেকে নেন নিশাত। ইব্রাহিম প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চাইলে তারা নিশাতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ভুক্তভোগী ইব্রাহিম বেপারী বলেন, নিশাত ডিজিএফআইর কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আজ আবার ৫ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। আমার কাছে নগদ টাকা না থাকায় সে ব্যাংকের চেক নিতে রাজি হয়। চেক দেওয়ার সময় পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। আমি আমার টাকা ফেরতের পাশাপাশি এই প্রতারকের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড.
ঢাকা/আকাশ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড জ এফআই কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যান্টার্কটিকায় সাগরের তলদেশে মাছের ভিন্ন আবাসস্থলের খোঁজ
অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম ওয়েডেল সাগরে ১ হাজারের বেশি মাছের আবাসস্থল খুঁজে পেয়েছে একটি ডুবো রোবট। সমুদ্রের তলদেশে থাকা আবাসস্থলটি বিক্ষিপ্ত অবস্থার বদলে সুস্পষ্ট নকশায় সজ্জিত। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেলফ বা বরফের স্তর থেকে বিশাল আইসবার্গ ভেঙে যাওয়ার পর উন্মোচিত হওয়া আবাসস্থলটি বহু দশক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সুসংগঠিত প্রজননক্ষেত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা ২৭ ঘণ্টার সমুদ্র তলদেশের ভিডিও বিশ্লেষণ করে মাছের আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের বিজ্ঞানী রাসেল বি কনেলি বলেন, এই অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে ছয়টি স্বতন্ত্র জ্যামিতিক বাসার নকশার খোঁজ। রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেলের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিক মাছের বাসার খোঁজ পাওয়া গেছে। রোবটের চোখে বক্ররেখা, রেখা, গুচ্ছ, ডিম্বাকৃতি, ইউ আকৃতি ও বিচ্ছিন্ন এককভাবে গোষ্ঠীভুক্ত বাসার অবস্থার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার সাগরে এমন বাসার বিন্যাস মাছের সেলফিশ হার্ড বা স্বার্থপরভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকার তত্ত্বের সঙ্গে খাপ খায়। এই ধারণা অনুসারে শিকারি প্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রাণীরা তাদের প্রতিবেশী প্রাণীদের নিজেদের ও শিকারিদের মাঝে রাখে।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ৬৭ আইসবার্গ লারসেন সি থেকে ভেঙে যায়। তখন বরফ ঢাকা এলাকায় গবেষণা শুরু হয়। বরফের খণ্ডটি প্রায় ২২৪০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছিল। বরফখণ্ড ভেসে যাওয়ার পরে সমুদ্রের তলদেশের বাসস্থানের তথ্য জানা যায়। ২০১৯ সালের ওয়েডেল সাগর অভিযানের সময় প্রকৌশলীরা এসএ আগুলহাস ২ জাহাজ থেকে রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল পরিচালনা করে। রোবটে একটি ক্যামেরা ও লেজার আছে। রোবটের মাধ্যমে দেখা যায়, খোঁজ পাওয়া বাসা আসলে ইয়েলোফিন নোটি প্রজাতির। এই ছোট মাছ মেরু অঞ্চলের পানিতে পাওয়া যায়।
কমিশন ফর দ্য কনজারভেশন অব অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস ওয়েডেল সি এমপিএ বা মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে। পুরো গবেষণার ফলাফল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: আর্থ