জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: বায়তুল মোকাররমে খতম ও বিশেষ দোয়া
Published: 5th, August 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র জনতার রূহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো.
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিবসহ বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও উপ পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সাধারণ মুসল্লীগণ উপিস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে খতমে কোরআন অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী ছাত্র জনতার রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলোতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ক ররম
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাারের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইউনিটের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা করতে গেলে আরেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পক্ষের লোকজন তাকে ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এ সময় সাব্বিরের পক্ষের লোকজনও তাদের উদ্দেশে দুয়োধ্বনি দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ ও জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আবার শুরু হয় অনুষ্ঠান।
ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাংবাদিকদের বলেছেন, “অনুষ্ঠানে আমি বাধা দেওয়ার কেউ না। আমি বাধা দিইনি। জুলাই যোদ্ধাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের কোনো মূল্যায়নই করা হয়নি। এই অকৃতজ্ঞতার প্রতিবাদ জানিয়েছি সচেতন নাগরিক হিসেবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসনের। এটি আমাদের নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান নয়। এখানে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়ে আমরা কেউ না। এই অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দায়িত্বই ছিল না। শুধু তাই নয়, আমাকে বক্তৃতার জন্য ডাকা হবে, এটা আমি নিজেও জানতাম না।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “মঞ্চে জুলাই যোদ্ধাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়েই তাদের ঝামেলা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও অনুষ্ঠান শুর হয়।”
এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
ঢাকা/শিয়াম/রফিক