Prothomalo:
2025-11-05@05:02:48 GMT

মুখে বললে লেখা হবে কাগজে

Published: 6th, August 2025 GMT

ভারতের কেরালা রাজ্যের এক শিক্ষার্থী দারুণ একটি যন্ত্র বানিয়েছেন। যন্ত্রটি মানুষের মুখের কথা শুনে কাগজে লিখে দিতে পারে। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনীতে যন্ত্রটি মানুষের সামনে আনা হয়। ‘টক-টু-রাইট’ নামের এই যন্ত্র মূলত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা কারও সাহায্য ছাড়াই নিজের কথা সহজে লিখে প্রকাশ করতে পারবেন।

কেরালার ওই শিক্ষার্থীর নাম অজয় এইচ। তিনি লিংকডইন পোস্টে যন্ত্রটি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যন্ত্রটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) ভয়েস-টু-পেন সিস্টেম, যা কথাকে কলমের মাধ্যমে হাতের লেখায় রূপান্তর করে।

অজয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী। তিনি জানিয়েছেন, র‍্যাসপবেরি পাই, আরডুইনো ও পাইথন ব্যবহার করে এ প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারে, এমনভাবে যন্ত্রটি নকশা করা হয়েছে।

অজয় লিখেছেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এমবেডেড সিস্টেম এবং সামাজিক প্রভাবের জন্য একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি মিলিয়ে সহজলভ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি তৈরি করা যায়।’

অসাধারণ এ কাজের জন্য অজয় তাঁর দলের অন্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অপর্ণা হরি, রুবাক হরি নায়ার ও আকাশ জি নায়ার; যাঁদের নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা আর একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতাই এই উদ্ভাবনকে সফল করেছে।

এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যবহারকারীরা প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ আইডিয়া! আপনি যদি এটাকে আরও উন্নত করেন, অনেক মানুষের উপকারে আসবে। দারুণ কাজ!’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘সত্যি, বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে। অভিনন্দন ও ভবিষ্যতের কাজের জন্য শুভকামনা।’

ভার্জিনিয়া টেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রকৌশলী এমন একটি রোবোটিক পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যেটি চলাফেরায় অক্ষম কিংবা দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হয়, এমন মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যান্টার্কটিকায় সাগরের তলদেশে মাছের ভিন্ন আবাসস্থলের খোঁজ

অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম ওয়েডেল সাগরে ১ হাজারের বেশি মাছের আবাসস্থল খুঁজে পেয়েছে একটি ডুবো রোবট। সমুদ্রের তলদেশে থাকা আবাসস্থলটি বিক্ষিপ্ত অবস্থার বদলে সুস্পষ্ট নকশায় সজ্জিত। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেলফ বা বরফের স্তর থেকে বিশাল আইসবার্গ ভেঙে যাওয়ার পর উন্মোচিত হওয়া আবাসস্থলটি বহু দশক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সুসংগঠিত প্রজননক্ষেত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা ২৭ ঘণ্টার সমুদ্র তলদেশের ভিডিও বিশ্লেষণ করে মাছের আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের বিজ্ঞানী রাসেল বি কনেলি বলেন, এই অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে ছয়টি স্বতন্ত্র জ্যামিতিক বাসার নকশার খোঁজ। রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেলের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিক মাছের বাসার খোঁজ পাওয়া গেছে। রোবটের চোখে বক্ররেখা, রেখা, গুচ্ছ, ডিম্বাকৃতি, ইউ আকৃতি ও বিচ্ছিন্ন এককভাবে গোষ্ঠীভুক্ত বাসার অবস্থার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার সাগরে এমন বাসার বিন্যাস মাছের সেলফিশ হার্ড বা স্বার্থপরভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকার তত্ত্বের সঙ্গে খাপ খায়। এই ধারণা অনুসারে শিকারি প্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রাণীরা তাদের প্রতিবেশী প্রাণীদের নিজেদের ও শিকারিদের মাঝে রাখে।

২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ৬৭ আইসবার্গ লারসেন সি থেকে ভেঙে যায়। তখন বরফ ঢাকা এলাকায় গবেষণা শুরু হয়। বরফের খণ্ডটি প্রায় ২২৪০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছিল। বরফখণ্ড ভেসে যাওয়ার পরে সমুদ্রের তলদেশের বাসস্থানের তথ্য জানা যায়। ২০১৯ সালের ওয়েডেল সাগর অভিযানের সময় প্রকৌশলীরা এসএ আগুলহাস ২ জাহাজ থেকে  রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল পরিচালনা করে। রোবটে একটি ক্যামেরা ও লেজার আছে। রোবটের মাধ্যমে দেখা যায়, খোঁজ পাওয়া বাসা আসলে ইয়েলোফিন নোটি প্রজাতির। এই ছোট মাছ মেরু অঞ্চলের পানিতে পাওয়া যায়।  

কমিশন ফর দ্য কনজারভেশন অব অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস ওয়েডেল সি এমপিএ বা মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে। পুরো গবেষণার ফলাফল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: আর্থ

সম্পর্কিত নিবন্ধ