জামালপুরে বিএনপির মিছিলের কারণে যানজট নিয়ে ক্ষোভ, পদ হারালেন ছাত্রদল নেতা
Published: 6th, August 2025 GMT
গণ–অভ্যুত্থান দিবসে জামালপুর সদর উপজেলায় বিএনপির বিজয় মিছিল ও সমাবেশের কারণে তীব্র যানজট হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ছাত্রদলের এক নেতা। এর জেরে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ওই নেতার নাম অমিত হাসান ওরফে রবিন। তিনি সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাত্রদল জামালপুর সদর উপজেলা পূর্ব শাখার আহ্বায়ক সাব্বির আহম্মেদ ও সদস্যসচিব আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অব্যাহতির তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বিকেলে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশের কারণে সদর উপজেলার নান্দিনা বাজার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত যানবাহন আটকে পড়ার ছবিসহ ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন অমিত হাসান।
অব্যাহতির বিষয়ে অমিত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে চরম অন্যায় করা হয়েছে। ওই সমাবেশ ও মিছিলের কারণে এক কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও আটকা পড়েছিল। ওই যানজট ছাড়তে ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে, আমি কয়েকটি ছবিসহ ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলাম। “সমাবেশ নাকি সাধারণ জনগণের ভোগান্তি”—এ কথাটুকুই লিখেছিলাম। আর এ কারণে আমাকে কোনো ধরনের শোকজ না করেই, সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
অমিত হাসান আরও বলেন, ‘দেখুন এই দলের কারণে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়েছি। এখনো আমার নামে তিনটি মামলা আছে। টানা ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের কারণে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। সেখানে এখন দল থেকে অব্যাহতি দেয়। এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে (অমিত হাসান) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রঘোষিত একটি কর্মসূচি নিয়ে ওই ধরনের স্ট্যাটাস তিনি কীভাবে দেন? আমাদের কাছে সন্দেহ হয়, তিনি আমাদের লোক কি না।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদর উপজ ল ছ ত রদল য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
দূষণকারীদের নাম প্রকাশে আনুন, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “ডাইং কারখানা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আর ইটভাটা—এগুলোই এখন পরিবেশের সবচেয়ে বড় হুমকি। এই শিল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাজেট ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন, যারা দূষণ ঘটাচ্ছে তাদের নাম প্রকাশ্যে আনুন। তথ্য উন্মুক্ত হলে জনগণ নিজেরাই রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।”
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার
জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় দুই বছর কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরের ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষা প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষায় আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়, বরং এর সঙ্গে থাকতে হবে স্বচ্ছতা, বিকল্প ব্যবস্থা এবং জনগণের সম্পৃক্ততা। অনিয়মিত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
রিজওয়ানা হাসান সব লাল ক্যাটাগরির শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন (EIA) পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনগণের মতামত নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “দূষণকারী কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করা, অভিযোগ ট্র্যাক করার জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করা প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসম, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ, বেস্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত।
অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আগত পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। বিকেলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাতুরিয়া পদ্মবিল পরিদর্শন করেন। এ সময় কাপাসিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ