খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সাথে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের সড়কটির দুইটি অংশ পানিতে ডুবে থাকায় আটকে পড়েছিলেন সাজেকগামী ও সাজেকে থাকা পর্যটকরা।
তবে বুধবার (৬ আগস্ট) সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরেছেন পর্যটকরা। সেখানে আর কোনো পর্যটক আটকা নেই।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আকতার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাচালং ও বাঘাইহাট এই দুই স্থানে পানি উঠেছিল। তবে বুধবার সকালে পানি নেমে যাওয়ায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।এখন গাড়ি চলাচল করছে। আর কোন পর্যটক সাজেকে আটকে নেই, সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন।
কটেজ রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সাজেক-এর সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন জানিয়েছেন, সাজেকে কোন পর্যটক আটকে নাই। সকালে পর্যটকদের প্রথম স্কটটি ঠিক সময়েই ছেড়ে গেছে। এখন সব কিছু স্বাভাবিক।
এদিকে কাচালং নদীসহ কাপ্তাই হ্রদে পানির বৃদ্ধির কারণে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা/শংকর/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দূষণকারীদের নাম প্রকাশে আনুন, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “ডাইং কারখানা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আর ইটভাটা—এগুলোই এখন পরিবেশের সবচেয়ে বড় হুমকি। এই শিল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাজেট ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন, যারা দূষণ ঘটাচ্ছে তাদের নাম প্রকাশ্যে আনুন। তথ্য উন্মুক্ত হলে জনগণ নিজেরাই রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।”
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন রবিবার
জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় দুই বছর কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরের ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষা প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষায় আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়, বরং এর সঙ্গে থাকতে হবে স্বচ্ছতা, বিকল্প ব্যবস্থা এবং জনগণের সম্পৃক্ততা। অনিয়মিত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
রিজওয়ানা হাসান সব লাল ক্যাটাগরির শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন (EIA) পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জনগণের মতামত নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “দূষণকারী কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করা, অভিযোগ ট্র্যাক করার জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করা প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসম, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ, বেস্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত।
অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আগত পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। বিকেলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাতুরিয়া পদ্মবিল পরিদর্শন করেন। এ সময় কাপাসিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ