মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭৮ জন জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া এবং তুরস্কে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব জুলাই যোদ্ধাদের  চিকিৎসা বাবদ  ৯৭ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ১০২ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যেখানে অর্থ নয় বরং  চিকিৎসা সেবায় ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।”

তিনি বুধবার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত জুলাই ছাত্র- শ্রমিক গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পরিবার ও জুলাই আহত যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “সরকার ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আহত ব্যক্তিরা প্রতি মাসে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাতা পাবেন। ‘ক' শ্রেণির জুলাই যোদ্ধারা ২০ হাজার, ‘খ' শ্রেণির জুলাই যোদ্ধারা ১৫ হাজার এবং ‘গ' শ্রেণির জুলাই যোদ্ধারা ১০ হাজার টাকা করে। তারা এককালীন অনুদানও পেয়েছেন। আহতদের জন্য আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা সরকারের সব হাসপাতালে প্রযোজ্য হবে। এই উদ্দেশ্যে তাদের একটি হেলথ কার্ডও প্রদান করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

নির্বাচনের আগে এসপি-ওসিদের বদলি হবে লটারির মাধ্যমে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডাচ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং দেশের সব বিশেষায়িত হাসপাতালে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “সরকার জুলাই আহত যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটি বড় ধরনের পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আহত ব্যক্তিদের পছন্দ অনুযায়ী পুনর্বাসিত করা হবে। যাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পর তাদের যোগ্যতা ও চাহিদা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া ব্যবস্থা করা হবে। তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হবে।”

গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুল হক আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে  শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের হাওলাদার, বাবলু আকতার বক্তৃতা করেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গাইবান্ধায় নেওয়া হলো খুবি শিক্ষার্থীর মরদেহ

রাঙামাটির সাজেকে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি সেনানিবাস থেকে মরদেহটি নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

আরো পড়ুন:

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

এর আগে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের সিজকছড়া এলাকায় খুবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী (২৩) নিহত হন। আহত হন শিক্ষকসহ আরো ১২ জন। শিক্ষার্থীদের সবাই চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।

স্থানীয়রা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে আহতদের খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খুবি শিক্ষার্থী রুবিনার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে পৌঁছায় মরদেহ বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মরদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়ন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহটি গ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান ও শিক্ষার্থী রণজিৎ রায়। রুবিনার মরদেহ হস্তান্তরের সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সদর দপ্তর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের জিটু-আই মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বিকেলে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. সাবের হোসেন বলেন, “গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আর নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/হাসিব/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’
  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গাইবান্ধায় নেওয়া হলো খুবি শিক্ষার্থীর মরদেহ
  • সাজেকে নিহত খুবি শিক্ষার্থী রিংকীর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধা