রমেক ক্যাম্পাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় ড্যাব নেতা আটক
Published: 6th, August 2025 GMT
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোয়ার্টারে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) এক নেতাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশ দিয়েছে। তিনি ড্যাবের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টার থেকে অপ্রীতিকর অবস্থায় এক নারীসহ রমেকের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ চিকিৎসক এবিএম মারুফুল হাসান আটক করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ব্যবহৃত কোয়ার্টারে নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন ডা.
আরো পড়ুন:
কাঙ্ক্ষিত বাজেট চেয়ে বেরোবির শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
চার দাবিতে মানববন্ধনে রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রংপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান। তিনি উপস্থিত থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং পরে দুইজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে আটক করে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
রংপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, “যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের পুলিশে দিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “এমন একটি ঘটনার কথা শুনে আমরা হতবাক। পুলিশ আইনগত বিষয়টি দেখছে। তবে কেনো তিনি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত হলেন, সে বিষয়ে কলেজে কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক র প র ম ড ক ল কল জ ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢামেকে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভাঙচুর, আটক ৩
জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত সাফওয়ান (৪) নামে এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে শিশুটির মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ শিশুটি চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা গেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে শিশুকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে ২১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। পরে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন দেওেয়ার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে শিশু স্বজনরা ডাক্তারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সেসময় জুয়েল নামে এক ট্রলি ম্যানকে রোগীর স্বজনরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই শিশুর লাশ জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা স্বজনদের বাধা দিলে তারা দরজা-জানালার কাচ ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় আনসার সদস্যরা তিন যুবককে আটক করে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন- সামির (৩০), সোয়েব (২১) ও রেজাউল (২৫)। তারা সবাই রাজধানীর পুরান ঢাকার আগামসিলেনের বাসীন্দা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “পুরান ঢাকা বংশালের আগামসি লেন থেকে কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে এক শিশুকে ভর্তির কিছুক্ষণ পরে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে। তারা ঢাকা মেডিকেলের এক ট্রলি ম্যানকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে জরুরি বিভাগের ওসেকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া দরজা-জানালা ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় তিন জকে গ্রেপ্তার করে শাহাবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”
ঢাকা/বুলবুল/এস