জুলাই কারাবন্দীরা শোনালেন বর্বর নির্যাতনের ঘটনা
Published: 6th, August 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে আটকের পরই শুরু হতো নির্যাতন। থানাহাজতে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন করা হতো। রিমান্ডে এনেও করা হতো আরও ভয়ংকর নির্যাতন। অসুস্থ হলেও কোনো চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখা হতো হাজতে। খাবার চাইলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হতো। কারাগারে গিয়েও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পাননি আন্দোলনকারীরা। জুলাই আন্দোলনের মাঠ থেকে আটকের পর যে নির্যাতন শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয় গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর।
বুধবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘জুলাই কারাবন্দীদের স্মৃতি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও সে সময়ের নির্যাতনের স্মৃতিচারণা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ঢাকা, ০৬ আগস্ট.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যান্টার্কটিকায় সাগরের তলদেশে মাছের ভিন্ন আবাসস্থলের খোঁজ
অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম ওয়েডেল সাগরে ১ হাজারের বেশি মাছের আবাসস্থল খুঁজে পেয়েছে একটি ডুবো রোবট। সমুদ্রের তলদেশে থাকা আবাসস্থলটি বিক্ষিপ্ত অবস্থার বদলে সুস্পষ্ট নকশায় সজ্জিত। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেলফ বা বরফের স্তর থেকে বিশাল আইসবার্গ ভেঙে যাওয়ার পর উন্মোচিত হওয়া আবাসস্থলটি বহু দশক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সুসংগঠিত প্রজননক্ষেত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা ২৭ ঘণ্টার সমুদ্র তলদেশের ভিডিও বিশ্লেষণ করে মাছের আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের বিজ্ঞানী রাসেল বি কনেলি বলেন, এই অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হচ্ছে ছয়টি স্বতন্ত্র জ্যামিতিক বাসার নকশার খোঁজ। রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেলের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিক মাছের বাসার খোঁজ পাওয়া গেছে। রোবটের চোখে বক্ররেখা, রেখা, গুচ্ছ, ডিম্বাকৃতি, ইউ আকৃতি ও বিচ্ছিন্ন এককভাবে গোষ্ঠীভুক্ত বাসার অবস্থার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার সাগরে এমন বাসার বিন্যাস মাছের সেলফিশ হার্ড বা স্বার্থপরভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকার তত্ত্বের সঙ্গে খাপ খায়। এই ধারণা অনুসারে শিকারি প্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রাণীরা তাদের প্রতিবেশী প্রাণীদের নিজেদের ও শিকারিদের মাঝে রাখে।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ৬৭ আইসবার্গ লারসেন সি থেকে ভেঙে যায়। তখন বরফ ঢাকা এলাকায় গবেষণা শুরু হয়। বরফের খণ্ডটি প্রায় ২২৪০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছিল। বরফখণ্ড ভেসে যাওয়ার পরে সমুদ্রের তলদেশের বাসস্থানের তথ্য জানা যায়। ২০১৯ সালের ওয়েডেল সাগর অভিযানের সময় প্রকৌশলীরা এসএ আগুলহাস ২ জাহাজ থেকে রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল পরিচালনা করে। রোবটে একটি ক্যামেরা ও লেজার আছে। রোবটের মাধ্যমে দেখা যায়, খোঁজ পাওয়া বাসা আসলে ইয়েলোফিন নোটি প্রজাতির। এই ছোট মাছ মেরু অঞ্চলের পানিতে পাওয়া যায়।
কমিশন ফর দ্য কনজারভেশন অব অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস ওয়েডেল সি এমপিএ বা মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে। পুরো গবেষণার ফলাফল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: আর্থ