Prothomalo:
2025-08-07@09:47:17 GMT

‘উড়াল’ দেখে পয়সা উশুল হবে কি

Published: 7th, August 2025 GMT

মুঠোফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার যখন ছিল না, এখনকার মতো ঘরে ঘরে যখন টেলিভিশন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ছিল না; তখন কেমন ছিল শৈশব-কৈশোর ও তারুণ্যের সেই সব দিন; মানুষের যাপিত জীবন। সেই সময়ের কর্মজীবী তরুণ তিন বন্ধুর গল্প, ভালোবাসা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, হত্যা ও বিচারহীনতার করুণ বাস্তবতা ‘উড়াল’ সিনেমায় চিত্রিত হয়েছে।

একনজরে
চলচ্চিত্র: উড়াল
পরিচালক: জোবায়দুর রহমান
গল্প: সম্রাট প্রামাণিক
অভিনয়ে: মাহাফুজ মুন্না, সোহেল তৌফিক, শান্ত চন্দ্র সূত্রধর, কাব্যকথা, কে এম আবদুর রাজ্জাক, করবী দাশ প্রমুখ
চিত্রগ্রহণ: ইবাদত আলীম
সম্পাদনা: আশিকুর রহমান
সংগীত: খৈয়াম সানু সন্ধি

সিনেমার শুরুতেই স্বাস্থ্যবান এক তরুণকে পুরোনো ভাঙাচোরা সাইকেল চালাতে দেখা যায়। গাছপালায় ঠাসা দূরে গ্রাম। দুই পাশে সবুজ ধানখেত, মাঝখানে সরু মেঠো পথ দিয়েই ওই তরুণ সাইকেল চড়ে যাচ্ছে। সে এক অনিন্দ্য সুন্দর গ্রামীণ দৃশ্য। মন যেন অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে, ‘ইশ্‌.

.., যদি এই পথে ধরে যেতে পারতাম!’ পরে দেখা গেল ওই তরুণের নাম বাচ্চু। সে সাইকেলের মেকার। স্বাস্থ্যবান হওয়ায় সবাই তাকে ‘ভোম্বল’ বলে ডাকে।

কিশোরী কুমকুমের ভীষণ প্রেমপ্রার্থী বাচ্চু। কুমকুম যখন স্কুলে যায়, পৃথিবীর সব মনোযোগ তার দিকে দিয়ে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে বাচ্চু। পাম্পার দিয়ে সাইকেলের চাকায় পাম্প দিতে দিতে চাকা ফাটিয়ে ফেলে। এ জন্য ভোম্বলকে শুনতে হয়, ‘শালা, চেংড়ি (মেয়ে) দেখোচো।’

‘উড়াল’ সিনেমায় উঠে এসেছে বন্ধুত্বের গল্প

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অন্যের বাড়ির বাসি খাবার খেয়ে দিন পার করা মেয়েটি এখন ৪০ কোটি টাকার মালিক

দুই বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। মা অন্যের বাড়িতে টয়লেট পরিষ্কার করতেন, ভাইবোন কাজ করতেন কম্বলের কারখানায়। সেই মেয়েই আজ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত কমেডিয়ান—ভারতী সিং। ৩০ কোটি রুপির (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) টাকার সম্পদের মালিক এই শিল্পীর জীবনকাহিনি যেন প্রায় সিনেমার মতোই।
‘জীবন কাছ থেকে দেখলে ট্র্যাজেডি, দূর থেকে দেখলে কমেডি’, চার্লি চ্যাপলিনের এ কথা যেন হুবহু মিলে যায় বহু কমেডিয়ানের জীবনের সঙ্গে, যাঁরা দারিদ্র্য পেরিয়ে পৌঁছেছেন আলোর ঝলমলে মঞ্চে। পাঞ্জাব থেকে মুম্বাইয়ে কপিল শর্মার সফর যেমন সহজ ছিল না, তেমনি প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তবকেও অটো চালাতে হয়েছিল রোজগারের জন্য। আর ভারতী সিং? একমাত্র নারী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন পুরুষপ্রধান কমেডি–জগতের সমান্তরালে। নিজের স্বকীয়তায় তিনি আজ ‘লাফটার কুইন’।

বাবাকে হারানোর পর জীবন বদলে গেল
মাত্র দুই বছর বয়সে ভারতী বাবাকে হারান। এরপর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মা ও দুই বড় ভাইবোনের ওপর। এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, তাঁর ভাই ও বোন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কম্বলের কারখানায় কাজ শুরু করেন। সেখানে তাঁরা এমন ভারী কম্বল তৈরি করতেন, যেগুলোর ওজন তাঁরা নিজেরাও বইতে পারতেন না।
মায়ের সংগ্রাম: টয়লেট পরিষ্কার, বাসি খাবারেই চলত পেট
এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানান, ছোটবেলায় তাঁরা প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। তাঁর মা অন্যের বাড়িতে রান্নাবান্না ও টয়লেট পরিষ্কারের কাজ করতেন। সেসব বাড়ি থেকে ফেরা বাসি খাবারই ছিল তাঁদের দিনের আহার।

ভারতী সিং। শিল্পীর ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ