Prothomalo:
2025-09-22@14:36:44 GMT

‘উড়াল’ দেখে পয়সা উশুল হবে কি

Published: 7th, August 2025 GMT

মুঠোফোন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার যখন ছিল না, এখনকার মতো ঘরে ঘরে যখন টেলিভিশন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ছিল না; তখন কেমন ছিল শৈশব-কৈশোর ও তারুণ্যের সেই সব দিন; মানুষের যাপিত জীবন। সেই সময়ের কর্মজীবী তরুণ তিন বন্ধুর গল্প, ভালোবাসা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, হত্যা ও বিচারহীনতার করুণ বাস্তবতা ‘উড়াল’ সিনেমায় চিত্রিত হয়েছে।

একনজরে
চলচ্চিত্র: উড়াল
পরিচালক: জোবায়দুর রহমান
গল্প: সম্রাট প্রামাণিক
অভিনয়ে: মাহাফুজ মুন্না, সোহেল তৌফিক, শান্ত চন্দ্র সূত্রধর, কাব্যকথা, কে এম আবদুর রাজ্জাক, করবী দাশ প্রমুখ
চিত্রগ্রহণ: ইবাদত আলীম
সম্পাদনা: আশিকুর রহমান
সংগীত: খৈয়াম সানু সন্ধি

সিনেমার শুরুতেই স্বাস্থ্যবান এক তরুণকে পুরোনো ভাঙাচোরা সাইকেল চালাতে দেখা যায়। গাছপালায় ঠাসা দূরে গ্রাম। দুই পাশে সবুজ ধানখেত, মাঝখানে সরু মেঠো পথ দিয়েই ওই তরুণ সাইকেল চড়ে যাচ্ছে। সে এক অনিন্দ্য সুন্দর গ্রামীণ দৃশ্য। মন যেন অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে, ‘ইশ্‌.

.., যদি এই পথে ধরে যেতে পারতাম!’ পরে দেখা গেল ওই তরুণের নাম বাচ্চু। সে সাইকেলের মেকার। স্বাস্থ্যবান হওয়ায় সবাই তাকে ‘ভোম্বল’ বলে ডাকে।

কিশোরী কুমকুমের ভীষণ প্রেমপ্রার্থী বাচ্চু। কুমকুম যখন স্কুলে যায়, পৃথিবীর সব মনোযোগ তার দিকে দিয়ে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে বাচ্চু। পাম্পার দিয়ে সাইকেলের চাকায় পাম্প দিতে দিতে চাকা ফাটিয়ে ফেলে। এ জন্য ভোম্বলকে শুনতে হয়, ‘শালা, চেংড়ি (মেয়ে) দেখোচো।’

‘উড়াল’ সিনেমায় উঠে এসেছে বন্ধুত্বের গল্প

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ