প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম স্থাপন করা হবে: আসিফ
Published: 9th, August 2025 GMT
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম স্থাপন করা হবে। স্টেডিয়ামগুলো যেন খেলাধুলার কাজে ব্যবহৃত হয়, ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদরা যেন খেলাধুলা করতে পারেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা মিলে স্টেডিয়ামের ব্যবহার নিশ্চিত করবেন।”
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে নাটোরের কানাইখালিতে সদর উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধনসহ ভার্চুয়ালি দেশের আরো ১৩টি উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম, মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পের পরিচালক মাহাবুব মোরশেদ সোহেল, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, জুলাই আন্দোলনে শহীদের পরিবার এবং আহতরা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
আরো পড়ুন:
অচলায়তন ভেঙে সক্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় কোয়াব
‘আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে, আমরা বিধ্বস্ত’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শত বছর পেরিয়ে ‘শান্তির মিষ্টি’
বহু বছর আগে ইছামতী নদীর তীরে গড়ে ওঠে বান্দুরা বাজার। ব্রিটিশ আমলেই এটি ব্যবসাসমৃদ্ধ ‘গঞ্জ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। সেখানেই নন্দ কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিক্রমপুর অনন্তদেব মিষ্টান্ন ভান্ডার’। পরে নাম বদলে হয় ‘শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার’। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঘোষ পরিবার ধরে রেখেছে এ ব্যবসা। এলাকার মানুষের কাছে একনামে পরিচিত ‘শান্তির মিষ্টি’ হিসেবে।
সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী দোকানটির কর্মীরা বেশ কর্মব্যস্ত। লাকড়ির চুলায় তৈরি হচ্ছে রসগোল্লা। পাশে দুধ জ্বাল দিচ্ছেন কারিগরেরা। দোকানের ক্যাশে বসে আছেন প্রবীণ সহদেব ঘোষ, হাসিমুখে ক্রেতাদের সামলাচ্ছেন। তাঁর দোকান-বাসা একই ছাদের নিচে।
প্রায় ৭০ বছর আগে সহদেব ঘোষ তাঁর বাবা মোহন লাল ঘোষের হাত ধরে এ ব্যবসায় নামেন। এখন বয়স ৯০ বছর। এ বয়সেও দোকানের দেখভাল করেন। সহদেব ঘোষ বললেন, এই ব্যবসাই তাঁর জীবনের অবলম্বন। তাঁর সন্তানেরা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকলেও ছোট ছেলে সুধীর ঘোষ তাঁর সঙ্গেই থেকে দোকান চালান। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান তাঁরা।
কারিগর সিদ্দিকুর রহমান ১২ বছর ধরে কাজ করছেন এখানে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খাঁটি দুধের ছানা ব্যবহার করি। কোনো পানি বা ভেজালের সুযোগ নেই।’ দোকানের বিক্রয়কর্মী শ্যামল বলেন, ‘প্রতিদিন এত ক্রেতা আসে যে সামলানোই মুশকিল। তবে এই ভিড়েই আনন্দ লাগে!’
সহদেব ঘোষের ছোট ভাই মধু ঘোষ জানান, তাঁদের পরিবার প্রায় ১৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পুরো বান্দুরা বাজারে একটাই মিষ্টির দোকান ছিল—এই শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার। এখন প্রতিদিন ২০০-৩০০ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়, মৌসুমভেদে তা বাড়ে বা কমে। অনেকে ফোনে অর্ডারও দেন। তাঁদের দোকানে মিষ্টির দাম শুরু ২৮০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দামের মিষ্টি পাওয়া যায়। দেড় টাকা কেজি দরে মিষ্টি বিক্রি করে দোকানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানান মধু ঘোষ।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্রিটিশ আমলে বান্দুরা ছিল নদীবন্দর ও ধানের আড়তের জন্য খ্যাত। খ্রিষ্টানপল্লির কারণে ব্যবসাও জমজমাট ছিল। সেই সময় থেকে শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করে।
রসগোল্লা, মালাইচপ, চমচম, দই, রসমালাইসহ নানা ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দোকানে