ফতুল্লা এলাকায় জলাবদ্ধতা এখন নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে লালপুর, পৌষা পুকুরপাড়, টাগারপাড়, পুলিশ লাইন, ইসদাইর, বুড়ির দোকান, সস্তাপুর, মাসদাইর, শিয়াচর লালখা, ও কুতুবপুরের প্রায় গোটা এলাকা কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে।

অলি-গলিতে এমন দৃশ্য, যেন বড় ধরনের বন্যা চলছে। কেউ কাজে যাচ্ছেন ভ্যানে, কেউবা নৌকা বেয়ে। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে লালপুর ও আলামিন বাগ টাগারপাড়,ইসদাইর সহনআশোশ এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন। তাদের একটাই দাবি, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান। 

প্রসঙ্গত, ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলেও প্রকল্পের বাইরে রয়ে গেছে বিশাল অংশ, আর খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সংবাদে  নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নিজে এলাকায় যান।

নিজ চোখে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র দেখেন এবং জলাবদ্ধতার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। পরিদর্শন শেষে রনি এলাকাবাসীর কাছে করণীয় জানতে চাইলে, তারা ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি খননের দাবি জানান। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে মশিউর রহমান রনি তাৎক্ষণিকভাবে নিজ খরচে খালটি খনন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যা রবিবার (১০ আগস্ট) থেকে শুরু হবে। তার এই ঘোষণায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
এলাকাবাসীর মতে, এই খালটি সচল হলে রেললাইনের পূর্ব পাড়ের একটি বিশাল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবারের বর্ষায় জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এ সময় মশিউর রহমান রনি বলেন, বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং শামীম ওসমান-এর গাফিলতির কারণে ফতুল্লার মানুষ বছরের পর বছর ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। তাই মানুষের কষ্ট লাঘবে আমি নিজেই জলাবন্ধতা নিরসনে এই উদ্যোগ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, খালটি খনন সম্পন্ন হলে এ বছর আর জলাবদ্ধতা হবে না।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স র

এছাড়াও পড়ুন:

ঋতুপর্ণাকে বিসিবির বাড়ি উপহার

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা ঋতুপর্ণা চাকমাকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বিসিবির সভা শেষে বেরিয়ে এ খবর জানান, পরিচালক ইফতেখার রহমান। এর মধ্যেই প্রকৌশলীর মাধ্যমে বাড়িটির নকশা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কিছু চূড়ান্ত হয়েছে এবং তা বিসিবির কাছে পাঠিয়েছে ঋতুপর্ণার পরিবার। 

রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাছড়ি গ্রামে বাঁশের বেড়ার একটি বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকেন ঋতুপর্ণা। ছোটবেলায় বাবাকে হারানো এই ফুটবলার তার একমাত্র ছোট ভাইকেও হারান বছর তিনেক আগে। বড় তিন বোনের বিয়ে হয়েছে। ২০২৪ সাফ জয়ের পর স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে বাড়ি করার জন্য জমি পেয়েছিলেন এই ফুটবলার। সেই জমিতেই এবার বিসিবি ঋতুপর্ণাকে বাড়ি বানিয়ে দেবে।  

আরো পড়ুন:

গামিনি মোহ কাটিয়ে হেমিংয়ে বুঁদ 

অখণ্ড অবসরে লম্বা সময় ‘যুদ্ধের’ প্রস্তুতি

গত মাসে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। যার অন‌্যতম রূপকার ছিলেন ঋতুপর্ণা। এর আগে  তার গোলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ জিতেছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আসরের সেরা ফুটবালের পুরস্কার জিতেছিলেন এই ফরোয়ার্ডই।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ