ট্রাম্পের দূতের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন পুতিন
Published: 10th, August 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূতের হাতে একটি পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। পুরস্কারটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ছেলে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তাঁকেই মরণোত্তর ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএস সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এসব তথ্য দিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি মস্কো সফর করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। সে সময় তাঁর হাতে ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার তুলে দেন পুতিন।
গ্লসকে মরণোত্তর সোভিয়েত আমলের ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে ক্রেমলিন বা রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়—কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেনি। এই পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ বেসামরিক কাজের জন্য দেওয়া হয়।২১ বছর বয়সী মাইকেল গ্লস গত বছর ইউক্রেনে নিহত হন। তিনি সিআইএর ডিজিটাল উদ্ভাবন–বিষয়ক উপপরিচালক জুলিয়েন গ্যালিনার ছেলে।
আগামী শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে। আর তার আগে এ পুরস্কারের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। বৈঠকে ট্রাম্প ও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন।
গ্লসকে সোভিয়েত আমলের ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে ক্রেমলিন বা রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেনি। এই পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ বেসামরিক কাজের জন্য দেওয়া হয়।
পুরস্কারটি কী করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। হোয়াইট হাউস, সিআইএ বা উইটকফ—কেউই এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আলাস্কায় কেন, জেলেনস্কি কি থাকছেন০৯ আগস্ট ২০২৫গত এপ্রিলে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো গ্লসের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করে। ওই মাসের শেষ দিকে সিআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, গ্লস মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার সম্পর্ক নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন—এমন এক ব্যক্তি সিবিএসকে বলেন, গ্লস কখনোই সিআইএর কর্মী ছিলেন না।
সূত্রগুলো সিবিএসকে আরও বলেছে, গ্লস ২০২৩ সালের শরৎকালে রুশ বাহিনীতে যোগ দেন। সে সময় ক্রেমলিন সম্ভবত তাঁর পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে জানত না।
গত বছর গ্লস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মস্কোর রেড স্কয়ারে তোলা সেলফি শেয়ার করেছিলেন। তাঁর পোস্টে তিনি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানান এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘ইউক্রেন প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘পশ্চিমা প্রচারণা’ বলেন।
গত বছর গ্লস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মস্কোর রেড স্কয়ারে তোলা সেলফি শেয়ার করেছিলেন। তাঁর পোস্টে তিনি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানান এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘ইউক্রেন প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘পশ্চিমা প্রচারণা’ বলেন।২০২৪ সালের নভেম্বরে গ্লসকে নিয়ে প্রকাশিত এক শোকলিপিতে বলা হয়, তিনি ওই বছরের ৪ এপ্রিল ‘ইস্টার্ন ইউরোপে নিহত’ হয়েছেন।
চার মাস আগে গ্লসের মৃত্যুর বিষয়ে সিআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাঁর মা গ্যালিনা ও পরিবার ‘এক অকল্পনীয় ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
গ্লসের বাবা ল্যারি গ্লস ইরাক যুদ্ধে লড়েছেন। গত এপ্রিলে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁদের ছেলে জীবনের বেশির ভাগ সময় মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।
ল্যারি গ্লস বলেন, ‘আমরা যখন তাকে দেশে ফেরানোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, কেউ ওখানে (মস্কোতে) হিসাব মেলাতে গিয়ে না জানি জেনে ফেলে যে তার মা কে। তাকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ প রস ক র প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের দূতের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূতের হাতে একটি পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। পুরস্কারটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার ছেলে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তাঁকেই মরণোত্তর ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএস সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এসব তথ্য দিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি মস্কো সফর করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। সে সময় তাঁর হাতে ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার তুলে দেন পুতিন।
গ্লসকে মরণোত্তর সোভিয়েত আমলের ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে ক্রেমলিন বা রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়—কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেনি। এই পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ বেসামরিক কাজের জন্য দেওয়া হয়।২১ বছর বয়সী মাইকেল গ্লস গত বছর ইউক্রেনে নিহত হন। তিনি সিআইএর ডিজিটাল উদ্ভাবন–বিষয়ক উপপরিচালক জুলিয়েন গ্যালিনার ছেলে।
আগামী শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে। আর তার আগে এ পুরস্কারের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। বৈঠকে ট্রাম্প ও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন।
গ্লসকে সোভিয়েত আমলের ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে ক্রেমলিন বা রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেনি। এই পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ বেসামরিক কাজের জন্য দেওয়া হয়।
পুরস্কারটি কী করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। হোয়াইট হাউস, সিআইএ বা উইটকফ—কেউই এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আলাস্কায় কেন, জেলেনস্কি কি থাকছেন০৯ আগস্ট ২০২৫গত এপ্রিলে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো গ্লসের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করে। ওই মাসের শেষ দিকে সিআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, গ্লস মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার সম্পর্ক নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন—এমন এক ব্যক্তি সিবিএসকে বলেন, গ্লস কখনোই সিআইএর কর্মী ছিলেন না।
সূত্রগুলো সিবিএসকে আরও বলেছে, গ্লস ২০২৩ সালের শরৎকালে রুশ বাহিনীতে যোগ দেন। সে সময় ক্রেমলিন সম্ভবত তাঁর পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে জানত না।
গত বছর গ্লস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মস্কোর রেড স্কয়ারে তোলা সেলফি শেয়ার করেছিলেন। তাঁর পোস্টে তিনি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানান এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘ইউক্রেন প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘পশ্চিমা প্রচারণা’ বলেন।
গত বছর গ্লস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মস্কোর রেড স্কয়ারে তোলা সেলফি শেয়ার করেছিলেন। তাঁর পোস্টে তিনি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানান এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘ইউক্রেন প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘পশ্চিমা প্রচারণা’ বলেন।২০২৪ সালের নভেম্বরে গ্লসকে নিয়ে প্রকাশিত এক শোকলিপিতে বলা হয়, তিনি ওই বছরের ৪ এপ্রিল ‘ইস্টার্ন ইউরোপে নিহত’ হয়েছেন।
চার মাস আগে গ্লসের মৃত্যুর বিষয়ে সিআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাঁর মা গ্যালিনা ও পরিবার ‘এক অকল্পনীয় ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
গ্লসের বাবা ল্যারি গ্লস ইরাক যুদ্ধে লড়েছেন। গত এপ্রিলে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁদের ছেলে জীবনের বেশির ভাগ সময় মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।
ল্যারি গ্লস বলেন, ‘আমরা যখন তাকে দেশে ফেরানোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, কেউ ওখানে (মস্কোতে) হিসাব মেলাতে গিয়ে না জানি জেনে ফেলে যে তার মা কে। তাকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে।’