ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশে এই প্রথম প্রিপেইড কার্ড চালু করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি), সেবা পে ও মাস্টারকার্ড। আজ রোববার গুলশানের একটি হোটেলে এই কার্ড উদ্বোধন করা হয়।

‘কম্প্যানিয়ন প্রিপেইড কার্ড’ নামে এই কার্ড বিশেষভাবে সেবা পে-এর ব্যবসা-টু-ব্যবসা (বি-টু-বি) প্ল্যাটফর্মে লেনদেনকারী এসএমই খুচরা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ব্যাংক হিসাব ছাড়াই ব্যবসায়িক লেনদেন, অর্থপ্রবাহ ব্যবস্থাপনা, সময়মতো বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে এই কার্ডে। সেই সঙ্গে থাকছে এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে প্লাস্টিক কার্ড স্পর্শ না করিয়ে লেনদেন পেমেন্ট, তাৎক্ষণিক স্থিতি দেখা, এটিএম থেকে টাকা তোলা, দেশ-বিদেশে অনলাইন ও অফলাইন লেনদেনের সুবিধা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো.

জাকির হোসেন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এমটিবির এমডি ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সেবা পের চেয়ারম্যান আদনান ইমতিয়াজ হালিম প্রমুখ।

এমটিবির এমডি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হিসাব ছাড়াই আধুনিক আর্থিক সেবা মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

সেবা পের চেয়ারম্যান আদনান ইমতিয়াজ হালিম বলেন, ‘সেবা পে-তে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে লেনদেন আরও সহজ করা। গ্রাহকেরা প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের ওপর নির্ভর না করেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন।’

এ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের জন্যও ভোক্তা প্রিপেইড কার্ড চালু হয়েছে। এই কার্ড প্লাস্টিক ও ভার্চ্যুয়াল উভয়ভাবে পাওয়া যাবে। কার্ডধারীরা মাস্টারকার্ডের বিভিন্ন অফার ছাড়াও দেশের ৯ হাজারের বেশি মার্চেন্ট পয়েন্টে ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘দেশের প্রথম এই প্রিপেইড কার্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের ডিজিটাল গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে সহজ, নিরাপদ ও সময়োপযোগী লেনদেন সেবা দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের যে অঙ্গীকার, এই কার্ড চালু করা তারই অংশ।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ট রক র ড এই ক র ড ল নদ ন ব যবস এমট ব

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ, খাবার অসাধারণ: বিদায়বেলায় হানিয়া আমির

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেই আলোচনার ঝড় তুলেছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই।

পাকিস্তানে ফেরার আগে বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি খাবারেরও প্রশংসা করেছেন হানিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশের ভক্ত ও জনগণকে বিদায় জানানো খুব কঠিন, যারা আমাকে সত্যিই ভালোবাসে এবং সমর্থন করে।’

হানিয়া লিখেছেন, ‘তোমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি। খাবার অসাধারণ ছিল, মানুষগুলো অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুনহানিয়া আমির কি পুরোনো প্রেমে ফিরছেন০১ জুলাই ২০২৫

একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন হানিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে।

পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতেও তুমুল জনপ্রিয় হানিয়া। অভিনয় থেকে স্টাইল—সবখানেই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা দেখা যায়।

২০১৬ সালে ‘জনান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়ার। এক দশকের ক্যারিয়ারে ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেইরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আনা’, ‘কাভি মে কাভি তুম’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।

হানিয়া আমির

সম্পর্কিত নিবন্ধ