‘আমাদের সম্পর্কটা শুধুই ভাই–বোনের’—এমন কথা তাঁরা বলে আসছেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা সেটা বিশ্বাস করলে তো! যখনই মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে জানাই ভোসলেকে দেখা গেছে, ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় উঠেছে পুরোনো গুঞ্জন—তাঁরা হয়তো প্রেমেই জড়িয়েছেন।

অবশেষে গুঞ্জনে বিশ্বাস রাখা সেই নেটিজেনদের সামনে ‘প্রমাণ’ হাজির করলেন জানাই। সিরাজের হাতে রাখি পরিয়ে প্রমাণ দিলেন, তাঁদের দুজনের সম্পর্ক ভাই–বোনেরই।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডে দুর্দান্ত সিরিজ কাটানো (সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট) সিরাজ দেশে ফিরেছেন। গতকাল জানাই ভোসলের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের একটি ভিডিওতে সিরাজের দেখা মেলে। ভিডিওতে দেখা যায়, সবুজ রঙের পোশাক পরা জানাই সোফায় সাদা পাঞ্জাবি–পাজামা পরে বসে থাকা সিরাজের হাতে রাখি বাঁধছেন। এরপর সিরাজ জানাইয়ের হাতে একটি উপহার তুলে দেন।

জানাই ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোসলের নাতনি। তিনিও সংগীতশিল্পী। ভিডিওতে জানাই ‘জিগরা’ সিনেমার গান ‘তেনু সঙ্গ রাখনা’ যুক্ত করেছেন। ক্যাপশনে ভাই-বোনকে নিয়ে বিখ্যাত গান ‘এক হাজারো ম্যায় মেরি বেহনা হ্যায়.

..’-এর প্রথম লাইন লিখে সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, ‘এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারত না’। একই ভিডিও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবচেয়ে ভালো ভাই’।

জানাই ভোসলের স্টোরিটি শেয়ার করেছেন সিরাজও। তবে কেউ যাতে কোনো মন্তব্য করতে না পারেন, সে জন্য জানাই ও সিরাজ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন বন্ধ রেখেছেন।

কমেন্টের ঘর বন্ধ করার মাধ্যমে সিরাজ ও জানাই হয়তো এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়টি এখন প্রমাণিত। এ নিয়ে আর কোনো কথা শুনতে চাই না।

সিরাজ–জানাইকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন জোরালো হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। সে সময় জানাইয়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড ও ক্রিকেট অঙ্গনের অনেকে। তবে সিরাজের সঙ্গে জানাইয়ের ছবি নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। দুজনে প্রেম করছেন কি না, বিয়ে করতে চলেছেন কি না—এমন প্রশ্নে ভরে ওঠে মন্তব্যের ঘর। এ বিষয়ে তখনই একে অপরকে ‘ভাই–বোন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন সিরাজ–জানাই।

অবশেষে এবার রাখি পরিয়েই প্রমাণ দিলেন তাঁরা—সিরাজ–জানাই ভাই–বোন।

আরও পড়ুনসিরাজের মাত, বুমরার ঘাত আর তাসকিনের দুকুল রক্ষা৫ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন

রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।

২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।

বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।

খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ