রাখি পরিয়ে আশা ভোসলের নাতনি প্রমাণ দিলেন, সিরাজ তাঁর ভাই
Published: 10th, August 2025 GMT
‘আমাদের সম্পর্কটা শুধুই ভাই–বোনের’—এমন কথা তাঁরা বলে আসছেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা সেটা বিশ্বাস করলে তো! যখনই মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে জানাই ভোসলেকে দেখা গেছে, ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় উঠেছে পুরোনো গুঞ্জন—তাঁরা হয়তো প্রেমেই জড়িয়েছেন।
অবশেষে গুঞ্জনে বিশ্বাস রাখা সেই নেটিজেনদের সামনে ‘প্রমাণ’ হাজির করলেন জানাই। সিরাজের হাতে রাখি পরিয়ে প্রমাণ দিলেন, তাঁদের দুজনের সম্পর্ক ভাই–বোনেরই।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডে দুর্দান্ত সিরিজ কাটানো (সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট) সিরাজ দেশে ফিরেছেন। গতকাল জানাই ভোসলের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের একটি ভিডিওতে সিরাজের দেখা মেলে। ভিডিওতে দেখা যায়, সবুজ রঙের পোশাক পরা জানাই সোফায় সাদা পাঞ্জাবি–পাজামা পরে বসে থাকা সিরাজের হাতে রাখি বাঁধছেন। এরপর সিরাজ জানাইয়ের হাতে একটি উপহার তুলে দেন।
জানাই ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোসলের নাতনি। তিনিও সংগীতশিল্পী। ভিডিওতে জানাই ‘জিগরা’ সিনেমার গান ‘তেনু সঙ্গ রাখনা’ যুক্ত করেছেন। ক্যাপশনে ভাই-বোনকে নিয়ে বিখ্যাত গান ‘এক হাজারো ম্যায় মেরি বেহনা হ্যায়.
জানাই ভোসলের স্টোরিটি শেয়ার করেছেন সিরাজও। তবে কেউ যাতে কোনো মন্তব্য করতে না পারেন, সে জন্য জানাই ও সিরাজ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন বন্ধ রেখেছেন।
কমেন্টের ঘর বন্ধ করার মাধ্যমে সিরাজ ও জানাই হয়তো এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়টি এখন প্রমাণিত। এ নিয়ে আর কোনো কথা শুনতে চাই না।
সিরাজ–জানাইকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন জোরালো হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। সে সময় জানাইয়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড ও ক্রিকেট অঙ্গনের অনেকে। তবে সিরাজের সঙ্গে জানাইয়ের ছবি নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। দুজনে প্রেম করছেন কি না, বিয়ে করতে চলেছেন কি না—এমন প্রশ্নে ভরে ওঠে মন্তব্যের ঘর। এ বিষয়ে তখনই একে অপরকে ‘ভাই–বোন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন সিরাজ–জানাই।
অবশেষে এবার রাখি পরিয়েই প্রমাণ দিলেন তাঁরা—সিরাজ–জানাই ভাই–বোন।
আরও পড়ুনসিরাজের মাত, বুমরার ঘাত আর তাসকিনের দুকুল রক্ষা৫ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্সের দূত
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ইসরায়েল–ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ওফার ব্রনসটাইন বলেছেন, আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশও থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন ওফার ব্রনসটাইন। সেখানে আল–জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ওফার ব্রনসটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল সরকার অনেক বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর কী হবে, সে বিষয়ে দুই পক্ষের কেউই কোনো বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিচ্ছে না।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান একমাত্র কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। আমরা দেখেছি, সহিংসতা ও যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। এভাবে কোনো সমাধান হবে না।’
ওফার ব্রনসটাইন বলেন, ফ্রান্সকে অনুসরণ করে যুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলোসহ আরও অনেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করেছে। কিন্তু তারা এটি স্বীকার করতে চায় না। বরং উল্টো ওই অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সরকার যদি মনে করে, ইসরায়েল ভূমি যুক্ত করার বা অন্য কোনো বড় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একই আচরণ করব, যেমন আচরণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য করছি।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে আরও ছয় দেশের স্বীকৃতি, সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্প ২২ ঘণ্টা আগেওফার ব্রনসটাইন আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তিনি হামাসকে তাদের কাছে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যদি এটি না করে, তাহলে এই ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগের দিন সোমবার নিউইয়র্কে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। সব মিলিয়ে দুই দিনে ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।