এনসিপির নেতা-কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন: তরিকুল ইসলাম
Published: 10th, August 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে যারা সম্মুখসারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আমাদের এনসিপির যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই মিডিয়া ট্রাইয়ালের শিকার হচ্ছেন।’
মিডিয়াকে ব্যবহার করে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য অনেক অপশক্তি বর্তমানে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তরিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান এনসিপির যুব সংগঠনের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এনসিপির নেতা–কর্মীদের বিতর্কিত করার জন্য এমন কোনো শক্তি নেই যে আজকে চেষ্টা অব্যাহত রাখছে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তরুণেরা যখনই কিছু একটা করছে বা এনসিপি রিলেটেড (সম্পর্কিত) যখনই কিছু একটা আসছে, সেটা কিন্তু খবরের পাতার মধ্যে সাত দিন ধরে থাকে। কিন্তু সেই জিনিসটা অন্যদের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অনেক গুরুতর অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেগুলো কখনো মিডিয়ার মধ্যে আসছে না।’
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারাসহ অন্যদের গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজারের একটা ইস্যু সামনে এনে সেখানে মিথ্যাচার করা হলো। বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে (মূলধারার সংবাদমাধ্যম) প্রচার করা হলো, সেখানে একজন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির নেতৃবৃন্দ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বৈঠক হয়েছে এবং সব জায়গায় প্রচার করা হলো। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু এটা বিশ্বাস করে নিয়েছে যে আসলে আমাদের এনসিপির যাঁরা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, তাঁরা সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা কিন্তু একটি ভিন্ন বার্তা দেয়, এটি অবিশ্বাসের জন্ম দেয়।’
এনসিপির এই যুব নেতা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের সব মিডিয়া থেকে শুরু করে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তারা যেন আমাদের প্রতি সেই সহনশীল আচরণ প্রদর্শন করে। তারা যদি তরুণদেরকে রাজনীতির ময়দান থেকে মাইনাস (বাদ) করার জন্য এ রকম উঠেপড়ে লাগে, সেটি বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। কারণ, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে তরুণেরাই কিন্তু সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এ কারণেই কিন্তু আমরা গত ১৬ বছরের যে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ ছিল, সেটাকে ফেলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।’
লিখিত বক্তব্যে তরিকুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো তাঁরা ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ আয়োজন করছেন। ১২ আগস্ট মঙ্গলবার ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এ এই সম্মেলন হবে।
সম্মেলনে যুব ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তরিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, যুব উন্নয়নবিষয়ক সমন্বয়ক খালেদ মোস্তফা, সিনিয়র সংগঠক ইয়াসিন আরাফাতসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প র ন ত আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেল উপহারের ৫০০ কেজি সুগন্ধি চাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল উপহার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চালভর্তি একটি পিকআপ সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাঠানো এসব চাল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বিতরণ করা হবে।
এর আগে সকালে ‘চাষী’ ব্র্যান্ডের চিনিগুড়া চালভর্তি পিকআপটি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসে। সেখানে রপ্তানিকারকদের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব ভূঁইয়া বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য উপহারস্বরূপ ৫০০ কেজি চাল পাঠানো হয়েছে। চালগুলো বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপহারের চালগুলো ভারতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এর আগে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে উপহার হিসেবে ভারতে ইলিশ মাছ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এবার পাঠানো হলো সুগন্ধি চাল। প্রতিবছর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে এ ধরনের উপহার বিনিময় হয়ে থাকে।