‘মফিজার রহমান কলেজের’ নাম পরিবর্তনের দাবি এলাকাবাসীর
Published: 11th, August 2025 GMT
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের পর পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতী ছিটমহল এলাকায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মধ্যে একটি ‘মফিজার রহমান কলেজ’। কলেজটির নামকরণ নিয়ে শুরু থেকে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও এবার নাম পরিবর্তনের দাবি জোরালো হয়েছে।
সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহলঘেঁষা গ্রাম ইয়ারপাড়ার বাসিন্দা মফিজার রহমান। তিনি স্থানীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিও নন। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের পর তার নামে কলেজের নামকরণ করা হয়। স্থানীয়রা এবার কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন।
সম্প্রতি নাম পরিবর্তনের দাবিতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন।
আরো পড়ুন:
পশুপালন অনুষদে নবীনদের বরণ করে নিলেন আন্দোলনকারীরা
জবিতে র্যাগিং করায় ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
স্থানীয়রা জানান, মফিজার রহমান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ উপজেলা কৃষকলীগের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার বড় ভাই প্রয়াত মখলেছার রহমান ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে কলেজটির নামকরণ করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মফিজার রহমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে কলেজের নামকরণ করেছেন। তিনি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন।
হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘‘মফিজার রহমান এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন যে তার নামে কলেজ হতে হবে। তিনি প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এবং রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থাকা উচিত নয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এলাকাবাসী কলেজের নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। তাদের দাবি, নাম পরিবর্তন করে ‘গাড়াতী ডিগ্রি কলেজ’ রাখা হোক।’’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘‘কলেজের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে নীতিমালা দেখতে হবে।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র ন ম র ন মকরণ র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “আজ যে রায় ঘোষণা করেছে এ রায় বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করে। বাংলার জনগণ এ রায় মানে না, মানবে না।”
আরো পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
তিনি বলেন, “অবৈধ আদালত যে মামলার রায় দিয়েছে সেটি ১৪ অগাস্ট শুরু করে ১৭ নভেম্বর মামলা শেষ করেছে। ৮৪ জন সাক্ষীকে সামনে রেখে ৫৪ জনকে হাজির করে ২০ দিনে মামলা শেষ করেছে। এই দুই মাসের মধ্যে মাত্র ২০ দিন আদালত চলেছে।”
“এর প্রধান বিচারক গত এক মাস অনুপস্থিত ছিলেন। তারপরেও প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মানুষের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে।”
জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব”।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।
ঢাকা/এসবি